স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই অস্ট্রেলিয়ার তিন উইকেটে ফেলে দিয়েছে সাকিব-মিরাজ-তাইজুল। তিন স্পিনারই উইকেট পেয়েছেন। বাংলাদেশের স্পিন বিষে ম্যাচের অনেকটা বাইরে চলে গেছে অস্ট্রেলিয়া। তারা লাঞ্চ বিরতিতে ৬ উইকেটে ১২৩ রান তুলে গেছে। সাকিব আল হাসান লাঞ্চের ঠিক আগে সবচেয়ে মূল্যবান উইকেটটাই বোধহয় নিলেন। ম্যাথু রেনশো বাকি অস্ট্রেলিয়ানদের ব্যর্থতার দিনে ভোগাচ্ছিলেন। সাকিব তাকে স্লিপে সৌম্য সরকারকের ক্যাচ বানান। এক ওভার আগেই তাইজুলের বলে স্লিপে তার ক্যাচ ছেড়ে আফসোসে পুড়েছিলেন সৌম্য। আফসোস দীর্ঘস্থায়ী হলো না। এর আগে তাইজুল ইসলাম পিটার হ্যান্ডসকম্বকে লেগ বিফোরে ফাঁদে ফেলে অস্ট্রেলিয়ানদের প্রতিরোধ ভাঙেন। রেনশ আর হ্যান্ডসকম্ব ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ৬৯ রানের জুটি গড়েছিলেন। তাইজুলের বলে আউট হবার আগে ডানহাতি হ্যান্ডসকম্ব ৩৩ রান করেছেন। দলের রান তখন ৫ উইকেটে ১০২ রান।
মিরাজ দিনের মাত্র তৃতীয় ওভারেই পথের সবচেয়ে বড় কাঁটা স্টিভেন স্মিথকে বোল্ড করেন। স্মিথ ইনিংসের ১২তম ওভারের শেষ বলটি খেলতে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। পায়ের ব্যবহার বাড়িয়ে ড্রাইভ খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক মিরাজের বলটিতে ব্যাট লাগাতে পারেননি। সোজা গিয়ে তার ষ্টাম্প উপড়ে ফেলে।
প্রথম দিনে বাংলাদেশে ২৬০ রানের জবাবে বিকেল বেলাতেও মুশফিকুর রহীমের দল অসিদের তিন উইকেট তুলে নিয়েছিল। এশিয়ার মাঠে অস্ট্রেলিয়ানদের হয়ে সবচেয়ে যিনি ভালো খেলেন সেই স্টিভেন স্মিথ উইকেটে ছিলেন বলেই সফরকারীরা ভরসা পাচ্ছিল, বাংলাদেশের আর শঙ্কা ছিলো। মিরাজ সেই শঙ্কা দূর করতে খুব বেশি সময় নেননি। রেনশ, হ্যান্ডসকম্বদের ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ানদের মুড়ে দিয়ে সাকিব-তাইজুলও বড় লিড পাওয়ার সম্ভবনা জাগিয়ে রাখলেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি