নিজস্ব প্রতিবেদক:
গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা এই তিন অববাহিকার মধ্যে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের ভারতীয় ও বাংলাদেশ অংশে পানি কমা অব্যাহত আছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি হ্রাস অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি অব্যাহত আছে।
পদ্মার পানি কমতে শুরু করায় দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুরের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তবে মেঘনা অববাহিকার ভারতীয় অংশে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পানি নেমে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় বসতবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে বন্যাদুর্গতরা। তবে পানি কমতে থাকায় অনেক এলাকায় নদী ভাঙন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে।
রোববার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিশেষ সতর্কীকরণ বুলেটিনে বলা হয়, বিগত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর ভারতীয় অংশের গোহাটিতে [বাংলাদেশ সীমান্ত হতে ১৮০ কিলোমিটার (কি.মি.) উজানে] ১৫ সেন্টিমিটার (সে.মি.), পাণ্ডুতে (সীমান্ত হতে ১৬০ কি.মি. উজানে) ১২ সে.মি., গোয়ালপাড়ায় (বাংলাদেশ সীমান্ত হতে ৯০ কি.মি. উজানে) ১২ সে.মি. এবং ধুবরী ( সীমান্ত হতে ২৫ কি.মি. উজানে) ১৩ সে.মি পানি সমতল হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি সমতল নুনখাওয়া, চিলমারী, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি এবং সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে হ্রাস অব্যাহত আছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, দেশের উত্তর অঞ্চলের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির (কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ) উন্নতি অব্যাহত থাকবে। পদ্মা নদীর পানি সমতল হ্রাস অব্যাহত থাকায় দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের (মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর) নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, মধ্যাঞ্চলের ঢাকার চতুর্দিকের নদীগুলো বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, টুঙ্গীখাল, বালু, শীতলক্ষা নদী বিপদসীমার যথাক্রমে ১০৫ সে.মি., ১৬ সে.মি., ১ সে.মি., ২৬ সে.মি এবং ৬ নিচ সে.মি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঢাকার চতুর্দিকের নদীগুলোর পানি সমতল আগামী ৪৮ ঘন্টায় হ্রাস পাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার উদয়ন রায়হান জানান, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার ভারতীয় অংশের ধুবরী পয়েন্টে আগামী ৩৬ ঘণ্টায় গড়ে ২১ সেমি. পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে। বাংলাদেশ অংশের ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি সমতল আগামী ৭২ ঘণ্টায় হ্রাস অব্যাহত থাকবে। গঙ্গা- পদ্মা নদীর পানি সমতলও আগামী ৭২ ঘণ্টায় হ্রাস অব্যাহত থাকবে। মেঘনা অববাহিকার নদীগুলোর মধ্যে সুরমা ও কুশিয়ারা পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেতে পারে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ