নিজস্ব প্রতিবেদক:
নওগাঁর রাণীনগরে চলমান বন্যাকে উপেক্ষা করে চলছে আউশ ধান কাটা ও মাড়াই। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসি। দেশে যখন উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নওগাঁর আত্রাই (ছোট যমুনা) নদীতে বন্যার পানি দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে, ঠিক তখনই রাণীনগর উপজেলার একাডালা ইউনিয়নে চলছে ধান কাটা ও মাড়াই।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার একডালা ইউনিয়ন ও এর আশপাশের মোট ৩ হাজার ২২০ হেক্টর উচু জমিতে আউশ ধানের চাষ করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১০০ হেক্টর আউশ ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে আর ১ হাজার ৫’শ হেক্টর জমির ধান ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে।
উপজেলায় হঠাৎ করে উজানের পানি নেমে আসার কারণে বন্যা দেখা দেওয়ায় কৃষকরা একটু আগেই আউশ ধান কাটা শুরু করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে আউশ ধানের ফলন হয়েছে প্রায় ১৫ মণ। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের বাড়ির উঠানে চলছে আউশ ধান মাড়াইয়ের কাজ।
শিয়ালা গ্রামের কৃষক আশরাফ হোসেন জানান, তিনি এ বছর দুই একর জমিতে আউশ ধানের আবাদ করেছেন। ফলন খুব ভালো পেয়ে তিনি খুশি। উপজেলায় বন্যা আসার কারণে তিনি একটু আগেই ধান কাটা শুরু করেছেন। ডাকাহার গ্রামের কৃষক আক্কাস আলী বলেন, যদিও বন্যার পানি এখনো আমাদের মাঠে প্রবেশ করেনি। তবুও আমি বন্যার ভয়ে একটু আগেই ৭ বিঘা জমির আউশ ধান কাটা শুরু করেছি। এবছর ফলন ভালো হয়েছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার জানান, উপজেলায় বন্যার পানি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পানি দ্রুত নেমে না যাওয়ার কারণে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ফসলের ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। তবে উপজেলার একাডালা ইউনিয়ন ও তার আশপাশের উচু জমিতে আউশ ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। এবার আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকদের প্রতিনিয়তই বন্যা পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ