আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন করবে চীন। বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। খবর চায়না ডেইলির।
মিংকিয়াং বলেন, বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়গুলো বোঝাতে দেশটির অবকাঠামোগত উন্নয়নে চীন সহায়তা করছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা এই অর্থ আধুনিক এবং আরও দক্ষতার সঙ্গে ব্যয় করা হবে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার চমৎকার এই সম্পর্ক থেকে আরও বেশি মানুষ উপকৃত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কাজী শফিকুল আজম বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং অসামান্য। চীনের অনুদানে বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই সাতটি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে এবং আরো একটি সেতু নির্মাণাধীন অবস্থায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা বন্ধুত্বের নিদর্শন হয়ে থাকবে। আমরা আশা করছি অদূর ভবিষ্যতে আরও একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে সক্ষম হব।’
ইআরডি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীনের সহায়তায় আমাদের দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, চুক্তি হওয়া নবম সেতুটি নির্মাণের স্থান ও অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যাপারে পরবর্তী সময়ে দুই দেশ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
চীনের অর্থায়নে দক্ষিণাঞ্চলের কোচা নদীতে অষ্টম মৈত্রী সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। ১৪শ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি বাংলাদেশ সড়ক ও হাইওয়ে বিভাগের অধীনে নির্মাণ হচ্ছে।
১৯৮৬ সালের অক্টোবরে ৯শ’ ১৭ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ সালে শেষ হয়।
এন/এইচ=দেশ জনতা