আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনের দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হাতোর আঘাতে ১২ জনের মৃত্যু ও কয়েকশ’ লোক আহত হয়েছে। খবর এএফপি’র। খবরে বলা হয়, হাতো নামের এ ঘূর্ণিঝড় বুধবার দুপুরে দেশটির গুয়াংডং প্রদেশের ঝুহাই শহরের কাছ দিয়ে অগ্রসর হয়ে স্থলভাগে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওই অঞ্চলে প্রবল ঝড় ও বৃষ্টি হয়। এদিকে হংকং ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা হিসেবে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করে। ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে হংকং ও পার্শ্ববর্তী ম্যাকাউতে জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ম্যাকাউতে এ ঝড়ের আঘাতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন গাড়ি পানির নীচে তলিয়ে থাকতে দেখা গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এ অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং বিদ্যুত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে বন্যাও দেখা দিয়েছে। চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চীনের মূল ভূ-খন্ডের প্রায় ২৭ হাজার লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনা কর্তৃপক্ষ ভূমিধস, বন্যা ও অন্যান্য ভূ-প্রকৃতিগত দুর্যোগের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। হাতোর বাতাসের বেগ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৭৫ কিলোমিটার ছিল বলে জানিয়েছে হংকংয়ের আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ। চীনের মূলভূখন্ডে আরো চারজনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। এছাড়া আরেক ব্যক্তির নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় অঞ্চলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল, ট্রেন স্টেশন ও বিমানবন্দরগুলো বন্ধ রাখা হয়।
হাতোর কারণে হংকংয়ে একশ’ কোটি ডলার মূল্যের ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হংকং কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি এখন পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে এটি ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ