নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোর শহর থেকে ২৫-৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে দুটি থানা ঝিকরগাছা ও শার্শা। ৪ হাজার বিঘা জমিতে ফুল চাষ করে স্খানীয় কৃষকরা। এসব ক্ষেত থেকে প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ফুল উৎপন্ন হয়। পথের দু’পাশে লাল, নীল, হলুদ, বেগুনি আর সাদা রঙের এক বিস্তীর্ণ চাঁদর যেন বিছিয়ে রেখেছে চরাচরে। জমিতে ফুল চাষ করে এখানকার চাষীরা। বাড়ির চারপাশে সৌখিন ফুলের বাগান নয়। মাঠের পর মাঠ জুড়ে ফুলের ক্ষেত। ফুলই এখানে ফসল। বাতাসে ফুলের মিষ্টি সৌরভ, মৌমাছির গুঞ্জন, প্রজাপতির ডানার জৌলুশ আর রঙের অফুরান সৌরভের সমাহার। এক কথায় মাতিয়ে তোলার মতো পরিবেশ। এই দৃশ্য দেখতে হলে আপনাকে যশোর-বেনাপোল রোড ছেড়ে ডানে, ফুলের গ্রাম গদখালীতে নেমে যেতে হবে।
গদখালী বাজারে নেমে ভ্যানে করে পানিসারা যেতে যেতে এমন দৃশ্য চোখে পড়বে সবার। ইচ্ছে হলেই যেকোনো বাগানে নেমে যেতে পারেন এমন দৃশ্য দেখতে। চাষ করা হয় রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, জিপসি, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা জাতের ফুল।
যেভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে যশোরের বেনাপোল গামী যেকোনো বাসে উঠেই গদখালী নামতে পারবেন। বাংলাদেশের ফুলের সবচেয়ে বড় যোগান এখান থেকেই হয়। গদখালী বাজারে সকাল থেকেই ফুলের কেনাবেচা শুরু হয়। আর ফুলের গ্রাম ঘুরে দেখতে চাইলে ভ্যান তো আছেই।
বাসে: ঢাকা থেকে যশোরগামী বাসে যশোর চলে আসুন। ভাড়া ৪৮০ টাকা। যশোরের চাঁচড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে বেনাপোলের বাসে গদখালি। গদখালি যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশেই। শহর থেকে ১৯ কিমি দূরত্বে গদখালি পৌছাতে সময় নেবে আধ ঘন্টার মত আর ভাড়া ৩০ টাকা। অথবা সরাসরি বেনাপোলের বাসে উঠলেই গদখালি নামিয়ে দেবে। ভাড়া ৫০০ টাকা।
ট্রেনে: গদখালি যাবার সবচে’ আরামদায়ক বাহন হল ট্রেন। ঢাকা থেকে খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে যশোর। চিত্রা সন্ধ্যা ৭ টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যায়। যশোর পৌছায় খুব ভোরে। ভাড়া ৪৫০ টাকা (শোভন চেয়ার)। স্টেশন থেকে বেনাপোলের বাস পেলে ভাল, না পেলে অটোতে করে চাঁচড়া বাস স্ট্যান্ড। এখান থেকে বেনাপোলগামী বাসে উঠলেই গদখালি নামিয়ে দেবে। ভাড়া ৩০ টাকা। চিত্রা ট্রেনটা নতুন। LHB কোচ, অনেক স্পীডি এবং শব্দ ও ঝাঁকুনী খুবই কম।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ