নিজস্ব প্রতিবেদক:
চায়ের দেশ শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে গেছেন। হ্যাঁ, মাধবপুর লেক, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে তো বেড়াতে যাবেনই। কিন্তু শ্রীমঙ্গলের বিখ্যাত নীলকন্ঠ চা কেবিনে একবার না গেলে আফসোস রয়ে যাবে আজীবন! হ্যাঁ, এতটাই বিখ্যাত এই চা। এক কাপ নয় এক গ্লাস চা।
চায়ের সরি লম্বা গ্লাসে এক স্তরের ওপর ভেসে থাকে আরেক স্তর। প্রতিটি স্তরে ভিন্ন রঙ। সাত রঙের চা বলে খ্যাত হলেও বর্তমানে চা পাবেন ৮ রঙের। তবে ৮ রঙ নয় আসলে ৮টি ভিন্ন স্তরের চা। রঙ আছে ২/৩টি। রঙের বিন্যাস তৈরি হয় স্তরের জন্যই।
বিভিন্ন ধরণের মসলার ব্যবহারের তারতম্য, পানির ঘনত্বের চমৎকার বিন্যাস এই স্তর সৃষ্টির কারণ বলে জানান নীল কন্ঠ চা কেবিনের একজন কর্মচারী। তবে চা বানানোর মূল রেসিপি নাকি খুবই গোপন। একমাত্র নীলকন্ঠ চা কেবিনের মালিকই সেটি জানেন। দোকান মালিকের নাম রামেশ চন্দ্র গৌড়। প্রায় ১২ বছর ধরে তিনি এই চা বানিয়ে যাচ্ছেন। তার দুইটি দোকান আছে- শ্রীমঙ্গলের মণিপুরী অধ্যুষিত রামনগর ও কালিঘাট রোডের ১৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ক্যান্টিনে। তার দোকান দুটিরই নাম নীলকণ্ঠ কেবিন।
বর্তমানে সাত স্তরের চা ৭০ টাকা, ছয় স্তরের ৬০ টাকা, পাঁচ স্তরের ৫০ টাকা, চার স্তরের ৪০ টাকা, তিন স্তরের ৩০ টাকা, দুই স্তরের চা ২০ টাকা, হাই স্পেশাল চা ২০ টাকা, স্পেশাল দুধ চা ১০ টাকা, গ্রিন চা ৫ টাকা, আদা চা ৫ টাকা, লাল চা ৫ টাকা এবং লেবু চা ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
M/H