২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:১৮

বাত রোগকে দূরে রাখার উপায়

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

ছোট-বড় সবার ক্ষেত্রেই হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা বা বাত রোগের হার নানা কারণে বেড়েই চলেছে৷ ব্যথাকে তেমন গুরুত্ব না দেয়ায় পরবর্তী সময়ে জটিল আকার নিতে পারে শিশু বা তরুণদের বাত রোগ৷ ফলে সময় থাকতে সচেতন হওয়া সবার জন্যই জরুরি৷

আর্থ্রাইটিসের প্রাথমিক লক্ষণ :

আর্থ্রাইটিস বা বাতের অসুখের প্রাথমিক লক্ষণ হলো হাড়ের জয়েন্টে জ্বালাপোড়া, হাত পা বা বিভিন্ন জায়গায় ফুলে যাওয়া এবং হাঁটা-চলায় অসুবিধা অনুভব করা৷

অতিরিক্ত ওজন ;

বাড়তি ওজন মানেই শরীরে বাড়তি ব্যথা৷ অতিরিক্ত ওজন বা মেদ সাধারণত কোমরে জমে৷ আর সেখান থেকেই শুরু হয় ব্যথার এবং ধীরে ধীরে হাঁটুতে নামে৷ বাত থেকে দূরে থাকার প্রধান শর্তই হচ্ছে উচ্চতা অনুযায়ী শরীরের ওজন ঠিক রাখা৷

অতিরিক্ত ওজনের শিশু:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব বলছে, বিশ্বের ৪১ মিলিয়নেরও বেশি শিশুরই বয়সের তুলনায় ওজন বেশি৷ বিশেষ করে, পাঁচ বছর বয়সের নিচের শিশুদের এই সমস্যায় বেশি পড়তে হয়৷ মোটা শিশুদের বাত, ডায়বেটিস এবং হার্টের অসুখসহ নানা অসুখের ঝুঁকি থাকে৷ তাছাড়াও অতিরিক্ত ওজনের শিশুরা মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ তাই শিশু বয়সেই ওজন কমানোর দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া উচিত৷

খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা :

যেকোনো অসুখের ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ওজনের একটি নেতিবাচক ভূমিকা রয়েছে৷ তাই খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সবসময়ই সতর্ক হতে হবে৷ পাশাপাশি মনে রাখতে হবে, শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিনযুক্ত খাবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অভাব যেন না হয়৷

মাছ খান :

সপ্তাহে দুই দিন টুনা, স্যামন বা সার্ডিন মাছ খেলে বাতকে দূরে রাখা সম্ভব হয়৷ ‘আর্থাইটিস কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ’-এ তথ্যটি প্রকাশ করেছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন – এর বিশেষজ্ঞদের করা এক সমীক্ষার ফলাফলেও এর প্রমাণ মিলেছে৷

বাত এড়াতে সবচেয়ে জরুরিব্যায়াম’:

নিয়মিত ব্যায়াম যেমন শরীর সুস্থ রাখে, তেমনি অসুখ-বিসুখকেও দূরে রাখে৷ তবে বাতের ব্যথা এড়াতে বিশেষ কিছু ব্যায়ামের বিকল্প নেই বলে জানান, জার্মানির গোয়েটিংগেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিকের অর্থপেডিক্স ক্রিস্টোফার স্প্যারিং৷

পেশাগত চাপ :

কিছু পেশায় যেমন অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, অন্য কিছু পেশায় আবার সারাদিন বসেই থাকা হয়৷ এর পাশাপাশি ভারি কাজ করতে গেলেও হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্টে প্রচুর চাপ পরে৷ তাই পেশাগত কারণে সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত৷

পুরনো ক্ষত :

ছোটবেলার কোনো ক্ষত বা হাত পা ভেঙে যাওয়া থেকে পরবর্তীতে হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা দেখা যায়৷ বয়স বাড়ার সথে এ ঝুঁকিও বাড়তে থাকে৷ তাই বড় ধরনের ক্ষত পুরনো হওয়ার আগেই সতর্ক হতে হবে৷ নিয়মিত পরামর্শ নিতে হবে অর্থপেডিক ডাক্তারের৷

জুতো বদল :

পায়ের পেশী ঠিক রাখতে প্রতিদিন তিন রকমের জুতো পরা উচিত বলে জানা গেছে গবেষণায়৷ এর ফলে পায়ের আঙুলের জয়েন্টে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং পুরো পায়ের পাতায় চাপ কম পরে বলেও মনে করছেন গবেষকরা৷ শেষ পর্যন্ত পুরো শরীরের ভার তো পা দু’টোকেই বহন করতে হয়!

প্রকাশ :আগস্ট ২৪, ২০১৭ ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ