নিজস্ব প্রতিবেদক:
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্র বিপ্লব আলম (১২) বেত্রাঘাতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে দুপচাচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সে উপজেলার জয়পুরপাড়া মহল্লার ট্রাক চালক জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
জানা যায়, বিপ্লব উপজেলা সদরের মিফতাহুল কওমী হাফেজিয়া মাদ্রাসার আরবী বিভাগের ছাত্র। গত ৪-৫ দিন সে মাদ্রাসায় অনুপস্থিত ছিল। গত ২২ আগস্ট ওই শিক্ষার্থীর বাবা তাকে সকালে মাদ্রাসায় রেখে আসেন। তার কিছু পরেই মাদ্রাসার সুপার আব্দুল লতিফ তাকে বেধড়ক মারপিট করে এবং মাদ্রাসা থেকে বের না হতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় এশার নামাজ পড়ার সময় সে কৌশলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে আসে এবং তাকে মারপিটের বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। তার অবস্থা দেখে রাতেই পরিবারের লোকজন তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোতাহার আলী জানান, শিশুটির সারা শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেগুলো জখম হয়ে লাল বর্ণ ধারন করেছে। ব্যাথানাশক ওষুধ দেয়া হয়েছে। সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে। বিপ্লবের বাবা জাহাঙ্গীর আলম জানান, নির্যাতনকারী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করবেন।
মাদ্রাসার সুপার আব্দুল লতিফ জানান, বিপ্লব মাদ্রাসায় নিয়মিত আসেন না। আসলেও কাউকে কিছু না বলে মাদ্রাসা থেকে চলে যায়। এ কারণেই তাকে শাসন করা হয়েছে।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, শিক্ষার্থীকে মারপিটের কথা শুনে থানার এসআই আব্দুস সালামকে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ করেন নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ