নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্যবসায়িক গ্রুপ এবিএন-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সৈয়দ সাদাত আহমেদকে অপহরণ করেছে বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছেন। তার পিতা কর্নেল (অব.) সৈয়দ শাহাবুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকালে বিমানবন্দর সড়কের বনানী ফ্লাইওভারের নিচে গাড়ি আটকে সাদাতকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়া হয়। সৈয়দ শাহাবুদ্দিন বলেন, তার ছেলে সৈয়দ সাদাত নিজেই গাড়ি চালিয়ে সৈয়দ মেহেদি জামান ও বাসার কেয়ারটেকারকে নিয়ে অফিসে আসছেন। বিকাল ৩টার দিকে বনানী ফ্লাইওভারের নিচে একটি মাইক্রোবাস তাদের পথরোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন এসে সাদাতকে জোর করে নামিয়ে তাদের গাড়িতে তুলে নেয়। মাইক্রোবাসের একজন এসে সাদাতের গাড়ির চালকের আসনে বসেন। দুটি গাড়িই কুড়িল বিশ্বরোডের তিনশ ফুট রাস্তা দিয়ে পূর্বাচলে গিয়ে থামে। সাদাতের গাড়িতে ওই সময়ও তার ছেলে মেহেদি ও কেয়ারটেকার ছিলেন। পরে পূর্বাচলে সাদাতের গাড়ি থেকে ওই ব্যক্তি নেমে যান। সাদাত ১৫ মিনিট পর ফিরে আসবেন বলে তার ছেলেকে বলে যান। লোকটি মেহেদির কাছ থেকে তার মোবাইল ফোনটিও নিয়ে যায়। সৈয়দ সাদাতের ছেলে মেহেদী জামানের বরাত দিয়ে সৈয়দ শাহাবুদ্দিন বলেন, পরে ওই মাইক্রোবাস নারায়ণগঞ্জের দিকে চলে যায়। সৈয়দ সাদাতের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা পরে খবর পেয়ে থানায় ছুটে যান। কিন্তু এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার কোন খোঁজ মেলেনি। এবিএন গ্রুপের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম খান সুমন জানান, ঘটনার পরপরই আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকল এজেন্সিতেও যোগাযোগ করছি। কোথাও কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। এদিকে ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, উনার স্বজনরা থানায় এসেছেন। আমরা তার অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুলিশ ধারণা করছে ব্যবসায়িক কারণে তাকে তুলে নেওয়া হতে পারে। বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলের পর গঠিত জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ সাদাত আহমেদ বর্তমান কমিটি থেকে বাদ পড়েন। তিনি চট্টগ্রামের পটিয়া আসন থেকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ধানের শীষের একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এবিএন-গ্রুপের অধীনে এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্ক, এবিএন এভিয়েশন, এবিএন ট্রাভেলস, এবিএন কার্গো, এবিএন প্রোপার্টিজ লিমিটেড, এশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কফি চেইন সুগার এন স্পাইস পরিচালিত হয়।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি