শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) :
বন্যার কারণে মোটা তাজা করা কুরবানীর ষাঁড় গরুর বাজার মূল্য নিয়ে শঙ্কায় পরেছেন শাহজাদপুরের শত শত খামারী। উপজেলার পশুর হাট গুলির পাশপাশি অনেক গরুর খামারও বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ঠিকমত কুরবানীর পশু নিয়ে লালন পালনও করতে পারছেননা খামারীরা। বন্যার কারণে যোগাযোগ বিছিন্ন অর্থনৈতিক সঙ্কটও তীব্র তাই কুরবানী পশুর বাজার মূল্য কম হচ্ছে। শাহজাদপুরের অন্যতম গরুর হাট জামিরতা,সোনাতনী,মুনকান্দী ডুবে যাওয়ায় বেপারীরাও চিন্তিত। গত বছরের মত এবার কুরবানীর পশুর মূল্য পাওয়া যাচ্ছেনা। গোটা উপজেলার সিংহভাগ গ্রাম ডুবে যাওয়ায় এসব গ্রামের খামারীরা গরু বিক্রি করতে হিমসিম খাচ্ছে। অপরদিকে দেশের উত্তরাঞ্চল জুড়ে বন্যা হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের হাট-বাজার গুলিও ডুবে গেছে সেখানেও কুরবানীর পশু কেনা-বেচা কঠিন হয়ে পরেছে। তাই এবার শাহজাদপুরের খামারীদের মাথায় হাত। নায্য দাম নিয়ে চিন্তিত। এ বছর যারা খামারে তৈরী গরু বিক্রি করতে চায়নি তারাও খামারে পানি উঠে যাওয়ায় কিম্বা গো–খাদ্যের অধিক মূল্যের কারনে গরু বিক্রি করে দিতে চাইছেন। প্রতি বছর উত্তরাঞ্চলের জেলা গুলোর মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের প্রায় সহসধিক খামারী কুরবানীর পশু মোটা তাজা করে বিক্রি করে থাকেন। অনেকে মৌসুমী খামারী হিসেবে ৬ মাসের জন্য খামারে গরু মোটা তাজা করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়ে আসলেও সম্প্রতি বন্যার কারণে সবাই লোকসানের শঙ্কায় আছেন। এ ব্যাপারে গরুর খামারী আক্তার হোসেন জানান, আমরা প্রতি বছর খামারে ১০ থেকে ১৫টি গরু মোটাতাজা করে থাকি। এবছরও খামারে পশু মোটা তাজা করা হচ্ছে । তবে গ্-ো খাদ্য খৈল,ভূষির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় খরচ বেশি পরছে। কিন্তু খরচ অনুযায়ী দাম ঠিকমত পাওয়া যাবে কিনা তা বলা যাচ্ছেনা। উল্লেখ্য শাহজাদপুরের খামারে তৈরী কোরবানীর ষাঁড় গরু, নারায়নগঞ্জ,গাবতলীসহ দেশের বড় বড় হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ব্যাপারীরাও এসব গরু খামারীদের নিকট থেকে নিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকেন। ।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর