নিজস্ব প্রতিবেদক:
পরিবেশ দূষণ আর পানি নিষ্কাষণ পথের জন্য অন্যতম বাধা পলিথিন সমস্যার সমাধানের পথ বের করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। নিষিদ্ধ করেও যখন পলিথিনের কিছু সুবিধার কারণে এটিকে বন্ধ করা যাচ্ছে না, তখন তারা বিকল্প এক ধরনের পলিথিন উদ্ভাবন করেছেন যা তৈরি হবে পাট দিয়ে। এই পলিথিন অল্প দিনেই মাটিতে মিশে যাবে। আজ রাজধানীর ডেমরায় লতিফ বাওয়ানী জুট মিলসে এই পলিথিন উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আযম।
জুন মাসেই বাজারে ছাড়া হবে এই ব্যাগ। গত মার্চে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বহুমুখী পাটপণ্যের মেলায় বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) স্টলে প্রদর্শন করা হয় এই ‘পাট পলিমার’।
দুই রঙের দৃষ্টিনন্দন পাটের পলিথিন ব্যাগগুলো চার কোণ আকৃতির। বাজারে প্রচলিত পলিথিন ব্যাগের মতোই হালকা ও পাতলা।
বিজেএমসির উপব্যবস্থাপক নৃপেন্দ্রনাথ হিরা সাংবাদিকদের জানান, মোবারক খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আণবিক শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিএএফআরই) বিজ্ঞানীরা পাট পলিমার তৈরি করছেন। এটি পলিথিনের বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন মোড়কজাতীয় পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হবে।
পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা পাট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পলিথিন উৎপাদন শুরু করেছি। তিন মাসের মধ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে বড় পরিসরে কাজ শুরু হবে। আশা রাখি আগামী জুন মাসে ‘পাটের পলিথিন’ বাজারে পাওয়া যাবে। এ পলিথিন মাটিতে পচে যাবে।’
বাজারে প্রচলিত অপচনশীল পলিথিন মাটি কিংবা পানিতে শত শত বছর পড়ে থাকলেও ধ্বংস হয় না। এ সময়ে এটি থেকে ছড়ায় পরিবেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর নানা উপাদান।
এই পলিথিনে পাটের সুদিন ফেরানোর স্বপ্নও দেখছে সরকার। সেই সঙ্গে পাটকলকে লোকসান থেকে লাভে ফেরানোর এই পলিথিনই হতে পারে অস্ত্র। এ ব্যাপারে মির্জা আজম বলেন, ‘সারা বিশ্ব এখন পলিথিনের বিকল্প খুঁজছে। আমরা এ বাজার ধরতে পারি। পাট পলিথিনের একমাত্র জোগানদাতা হবে বাংলাদেশ। আমাদের পরিকল্পনা আছে, সারা বিশ্বের পাটের পলিমার ব্যাগের বাজার দখল করার।’
M/H
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

