২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:৩৭

পোশাক শ্রমিকরা বোনাস পাবে ২৮ আগস্টের আগে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আগামী ২৮ আগস্ট থেকে পোশাক শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ছুটি শুরু এবং এর আগে উৎসব ভাতা (বোনাস) পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। রোববার সচিবালয়ে ঈদুল আজহার সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সভার সিদ্ধান্ত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘যানজট নিরসনে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ২৮ তারিখ থেকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়া হবে। এর আগে বোনাস দেওয়া হবে। বেতন ও অন্যান্য পাওনাদি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিশোধ করে দেবেন।’ তিনি বলেন, ‘ঈদুল আজহার প্রাক্কালে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে রাস্তা-ঘাটের যানবাহন বাস, ট্রেন ও লঞ্চ স্টেশনে গোয়েন্দা নজরদারি বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমরা করব।’ ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া পশুবাহী কোনো ট্রাক আমরা থামাব না। চাঁদাবাজি, ছিনতাইকারী, অজ্ঞান ও মলম পার্টির সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য বিশেষ অভিযান চলছে এবং এটা অব্যাহত থাকবে,’ বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।  মহাসড়কে ১৯৩টি পশুর হাট বসে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘হাইওয়েতে যাতে পশুর হাট না বসে সেজন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। হাইওয়েতে যাতে কোনো হাট-বাজার না বসে সেজন্য আমরা সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ মন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পাঞ্চলে ঈদের সময় ফায়ার সার্ভিস সব সময় প্রস্তুত থাকবে। লঞ্চঘাট, ফেরিঘাটসহ সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফায়ার রেসকিউ টিম অবস্থান করবে।’ কোরবানির পশুর হাটে জাল নোট শনাক্ত করতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মেশিন সরবরাহ করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক জাল নোট শনাক্তের মেশিনের ব্যবস্থা করবে বলেও জানান তিনি। ঢাকা মহানগরীতে ২৩টি পশুর হাট বসবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি হাটে পুলিশ ক্যাম্প থাকবে, নির্দিষ্ট স্থানে সিসি ক্যামেরা থাকবে। হাসিলের তালিকা গরুর হাটে টাঙ্গিয়ে রাখতে হবে। জনগণকে যাতে কোনক্রমেই বেশি হাসিল দিতে না হয়।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যাতে না ঘটে সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য হাইওয়ে, লঞ্চঘাটসহ সব জায়গায় আমরা ব্যবস্থা নেব। চামড়া কেনা-বেচা নিয়ে যাতে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনী নজর রাখবে। সীমান্ত অঞ্চলে চামড়ার মুভমেন্ট আমরা রেস্ট্রিকটেড করে দেব।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোস্টগার্ড সারা রাত নৌপথে টহল দেবে ভাঙাচোরা লঞ্চ যাতে বের হতে না পারে। যাতে ওভারলোড না করতে পারে। নৌপুলিশ প্রত্যেকটি লঞ্চ টার্মিনালে অবস্থান করবে।’ ঈদের তিন দিন আগে থেকে আমরা কোনো বালুবাহী নৌযান চলতে দেব না। ঈদের তিন দিন আগে থেকে সড়কে পশুবাহী ট্রাক, ওষুধ পরিবহন, খাদ্যশস্য, গার্মেন্টসের রপ্তানি পণ্য ছাড়া ভারী যানবাহনও চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান মন্ত্রী। সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ, পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, র্যা বের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীনসহ কোস্টগার্ড, গোয়েন্দা সংস্থা, বিজিএমইএসহ অন্যান্য সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :আগস্ট ২০, ২০১৭ ৫:৪৩ অপরাহ্ণ