স্বাস্থ্য ডেস্ক:
বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের দিনের শুরু হয় এক কাপ উষ্ণ কফির সঙ্গে। তার মনোমুগ্ধকর সুবাস, স্বাদ এবং স্বতন্ত্র গন্ধ ছাড়াও মানব দেহের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। তবে আমাদের দেশে চা পানকারীর সংখ্যার তুলনায় কফি পানকারীর সংখ্যাটা অনেক কম। কিন্তু আপানি জানেন কি, কফি আপনার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই কার্যকর।
বিশেষ করে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনতে সক্ষম কফি। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ২ থেকে ৩ কাপ কফি পান তাদেন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক কম। সাম্প্রতি ওইউ স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষকরা বলেছেন, বেশি কফি পান করলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তুলনামুলক ভাবে অনেক কমে যায়। তার কারণ হলো কফিতে অবস্থিত কলিনার্জিক এসিড গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি প্রতিহত করে।
তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই মানসিক ও শারীরিক সুস্বাস্থ্যের কফির ভূমিকা সম্পর্কে।
১. কফি পারকিনসন রোগের ঝুঁকি কমায় :
কফি পান ব্রেনের জন্যও ইতিবাচক। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। যারা অতিরিক্ত কফি পান করে অন্যদের তুলনায় তাদের মস্তিষ্ক বিকৃতির আশঙ্কা ৬৫ শতাংশ কম থাকে।
২. কফি স্ট্রোকের আশঙ্কা কমিয়ে দিতে পারে :
কফি পান স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে যেসব মহিলার স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের বেলায় এটি বেশি প্রযোজ্য।
৩. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় কফি :
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কফি শুধু যে একটি পানীয় তা কিন্তু নয়। এটা যেমন কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে তেমনি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
৪. কফি হজমশক্তি বাড়ায় :
কখনো কি লক্ষ করেছেন সকালে বাথরুমে যাওয়ার আগে এক বা দুই কাপ কপি পানের পরও পেটে কোনো সমস্যা হয়নি। আসলে কফি হজমেও সহায়ক।
৫. কফি টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় :
যারা অতিরিক্ত কফি পান করে (দিনে ছয় বা তার বেশি কাপ) তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস হওয়ার শঙ্কা কম থাকে।
৬. কফি চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে :
কফি খেলে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ কারণে অনেকেই কফি এড়িয়ে চলেন। তবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটু ভেবে দেখা উচিত। কেননা চর্বি কমানোর জন্য যখন ব্যায়াম করা তখন কফি পান উপকারী। কেননা কফি চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
৭. গলস্টোনের ঝুঁকি কমায় :
পরিমিত কফি পান মহিলাদের গলস্টোনের ঝুঁকি কমায়। পুরুষদের জন্য যে উপকারী নয়, তা কিন্তু না। পুরুষদের গলব্লাডারের ঝুঁকি কমায়।
৮. দাঁতের জন্য কফি উপকারী :
প্রত্যেকে জানে কফি পানে দাঁত বিবর্ণ হয়ে যায়। তবে এর ইতিবাচক দিকও রয়েছে, যা দাঁতকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করে।
৯. কফি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় :
নিয়মিত কফি পান ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ২৫ ভাগ কমিয়ে দেয়। লিভার ক্যান্সারেরও ঝুঁকি কমায় কফি।
১০. কফি মাথাব্যথা প্রতিরোধ করে :
কফি পান মাইগ্রেনের সমস্যায় দারুণ কার্যকর।r
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ