সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ জেলার ধীরে ধীরে পানি কমতে থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি এখন কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে সিরাজগঞ্জের ৫টি উপজেলার পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ এখন বিশুদ্ধ খাবার পানি ও ওষুধ সঙ্কটে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। গতকাল শুক্রবার সিরাজগঞ্জ যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও তা কমে শনিবার সকালে ৩১ সেন্টিমিটারে নেমে এসেছে। তবে পানিবন্দি অন্তত ৩ লাখ মানুষ এখন বিশুদ্ধ খাবার পানি ও ওষুধ সঙ্কটে রয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসেব অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা পয়েন্টে যমুনার পানি ১৯ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, জেলার বন্যাকবলিত ৫টি উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়নের প্রায় তিনশ গ্রামের ৫০ হাজারেরও বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব পরিবারের প্রায় পৌনে তিন লাখ মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অধিকাংশ মানুষই পাউবোর বাঁধ, উঁচু রাস্তাঘাট ও স্থানীয় স্কুল-কলেজের আশ্রয় কেন্দ্রে উঠতে শুরু করেছেন। প্রায় ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি পুরোপুরি এবং এক হাজার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা কবলিতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণও রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ডিডি) আরশেদ আলী জানান, প্রতিদিনই নতুন নতুন গ্রামের ফসলি জমি ডুবে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে পাঁচ উপজেলার প্রায় আড়াই হাজার হেক্টরের বেশি কৃষিজমি এরই মধ্যে বন্যায় ডুবে গেছে। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে বাঁধ এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি