নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে খাদ্য সংকটে বানভাসি মানুষের মধ্যে আহাজারি বেড়েছে। অনেক পরিবারের খাবার শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা নৌকা দেখলেই ত্রাণের আশায় ছুটে আসছেন। রান্না করতে না পারায় একবেলা খেয়ে না খেয়েই দিন পার করছেন অনেক পরিবার। এদিকে বিগত ছয় দিনে বন্যার পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে মৃত বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চর সারডোব গ্রামের জামাল জানান, বন্যা শুরুর পর থেকে পার্শ্ববর্তী চরের প্রায় ২ হাজার পরিবার স্থানীয় বাঁধে আশ্রয় নিলেও তারা কোনো ত্রাণ সহায়তা পাননি। বালাডোবার চরের হাসান হোসেন জানান, পরিবারের চার সদস্য নিয়ে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সরকারি-বেসরকারি কোনো ত্রাণই পাননি তিনি। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে জেলার ৮ হাজার পুকুরের প্রায় ১২ কোটি টাকার মাছ। উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মান্নান হোসেন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ২২ হাজার মানুষ পানিবন্দি। ত্রাণের অভাবে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।’ এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ জানান, জেলার ৯টি উপজেলার ৮২০টি গ্রামের ৪ লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি জীবন-যাপন করছেন। বন্যার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য এ পর্যন্ত সাড়ে ২৩ লাখ ৫ হাজার টাকা, ৮৫১ মেট্রিক টন চাউল এবং দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ