নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি ও শাহজাদপুরের গোপালপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় জেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
এদিকে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষায় নির্মিত ব্রক্ষপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এই বাঁধের গোনেরগাতী থেকে পাঁচঠাকুরী পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি চুয়ে বের হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালির বস্তা ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা যাচ্ছে।
এ পর্যন্ত জেলার ৩৩টি ইউনিয়নের ২৯০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী, জালালপুর, বেলতৈল ইউনিয়নের অন্তত হাজারো একর আমন ধান তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে কিছু ঘর-বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও তলিয়ে গেছে। পাশাপাশি এসব জমিতে পলির পরিবর্তে বালু পড়ায় জমি অনাবাদী হবার আশংকায় কৃষকেরা।
সিরাজগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, বাঁধ ভাঙন ঠেকাতে আপাতত পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছেনা। তবে শুষ্ক মৌসুমে আবার বাঁধটি নির্মাণ করা হবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশরী (শাখা কর্মকর্তা-১) রঞ্জিত কুমার সাহা বলেন, সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষায় নির্মিত ব্রক্ষপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গোনেরগাতী থেকে পাঁচঠাকুরী পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি চুয়ে বের হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালির বস্তা ফেলে ভাঙ্গন ঠেকাতে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর