নিজস্ব প্রতিবেদক:
নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চেয়েছেন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে ইসির সংলাপে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা এই মত দেন।
বুধবার সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এতে সভাপতিত্ব করছেন।
বক্তারা বলেন, সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যে ক্ষমতা আছে সেটির প্রয়োগ করে তাদের উচিত সব দলের অংশগ্রহণে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা।
সংলাপ চলাকালীন সময়ে মতামত দিয়ে বের হয়ে আসেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ভারতের নির্বাচন কমিশনের তুলনায় আইনগত দিক থেকে আমাদের কমিশন অনেক বেশি শক্তিশালী। আমরা বলেছি, আপনারা শুধু মেরুদন্ড সোজা করলেই হবে না, আপনাদের প্রকৃত ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, সাংবিধানিকভাবে আপনাদের যে ক্ষমতা আছে সেটির প্রয়োগ করে সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। যেহেতু কমিশন নির্বাচন আয়োজক সংস্থা সেহেতু সবার অংশগ্রহণের জন্য যে প্রক্রিয়া দরকার তাই করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সকল দলের অংশগ্রহণে কিভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা, সিভিল সোসাইটির ভূমিকাসহ কিভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু করা যায় তার ব্যবস্থাও করতে হবে কমিশনকে।
নঈম নিজাম বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সেনাবাহিনী থাকবে কি না, নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে সেনাবাহিনী প্রয়োজন তাহলে অবশ্যই সেনাবাহিনী ব্যবহার করবে। বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সে সকল সংস্থা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ কাজ করে তাদের ভূমিকা কেমন হবে তা আমরা জানতে চেয়েছিলাম। এসব সংস্থাকে বলিষ্ঠভাবে আপনারা নিয়ন্ত্রণ করেন যেন জনগণ সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিশন নির্বাচনী ব্যয় বেধে দিলেও প্রার্থীরা তা মানেন না। কালো টাকার ব্যবহার রোধেও নির্বাচন কমিশনকে ভূমিকা রাখতে হবে।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। বৈঠকে জানানো হয় বৃহস্পতিবার ফের সাংবাদিকদের মতামত নেবেন ইসি।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ