নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিন পানি বেড়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। জেলার ৩৩টি ইউনিয়নের ২৯০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দিনাজপুরে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার কাজিপুর, সদর, শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলের প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
এতে বন্যাকবলিত এলাকায় ৩৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৮২৩৪ টি ঘর-বাড়ি অংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ২৪৯৪ হেক্টর ফসল ও ৩০ কিলোমিটার রাস্তা-বাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে ১৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্র আগে থেকেই নির্ধারিত বা চিহ্নিত করা আছে। দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা ভান্ডার থেকে ৫টি উপজেলায় ১৭৫ মেট্রিক টন খয়রাতি চাল এবং ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা আগাম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বরাদ্দকৃত চাল ও অর্থ বন্যা কবলিত পরিবারের মধ্যে বিতরণ শুরু করেছেন জেলা প্রশাসক।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, যমুনা নদীতে আরো এক থেকে দুই দিন পানি বাড়তে পারে। এর পর থেকে পানি কমতে শুরু করবে। জেলার ৭৮ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বাঁধ ঝুকির মধ্যে রয়েছে। বাঁধ এলাকায় সার্বক্ষনিক মনিটর করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ভাঙ্গন মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ