নিজস্ব প্রতিবেদক:
দিনাজপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। একটি নদীর পানি বিপদসীমার কিছুটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সব নদীর পানি এখন বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ। দিনাজপুর শহর রক্ষা বাঁধ এখনও মেরামত করতে পারেনি সেনাবাহিনী।
এদিকে দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কে যান চলাচল আংশিক শুরু হলেও দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের বেশ কিছু এলাকা এখনও পানিতে তলিয়ে আছে। ফলে দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কে এখনও যান চলাচল শুরু হয়নি। দিনাজপুরের সঙ্গে সারাদেশের রেলযোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ কথা নিশ্চিত করেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের দিনাজপুর স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট গোলাম মোস্তফা।
দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান জানান, দিনাজপুরের পুনর্ভবা নদীর পানি বিপদসীমার দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার, ইছামতি নদীর পানি দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ইছামতি নদীর পানি কিছুটা কমে বিপদসীমার দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি জানান, পুনর্ভবা নদীর তুতবাগান এলাকায় ভেঙে যাওয়া শহর রক্ষা বাঁধ সেনাবাহিনীর সদস্যরা সোমবার মেরামত কাজ শুরু করলেও এখনও মেরামত শেষ হয়নি। এখনও দিনাজপুর শহরের অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে রয়েছে। গ্রামাঞ্চলেও তেমন পানি না কমায় বাড়িঘরে ফিরতে পারছেন না গৃহহীন মানুষ। বিভিন্ন বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে তারা বসবাস করছে।
এদিকে শহর ও এর আশপাশের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে কিছু কিছু ত্রাণ পৌঁছলেও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের আশ্রয়কেন্দ্র ও বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে এখনও তেমন ত্রাণ পৌঁছায়নি। ফলে অনাহারে-অর্ধাহারে রয়েছে অনেকেই। তবে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মীর খায়রুল আলম জানান, প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ পৌঁছে দিতে সেনাবাহিনীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ