নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্রহ্মপুত্র, ধরল ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে সংকটময় করে তুলেছে।
এদিকে, বন্যার পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে সোমবার কুড়িগ্রাম সদর ও ফুলবাড়ী উপজেলায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় বন্যায় নিহতের সংখ্যা ৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ফুলবাড়ীতে তিনজন পানিতে ডুবে মারা গেছেন। আর সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নে সাপের কামড়ে মারা গেছে এক নারী।
এদিকে, বন্যায় জেলার ১৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি পানিবাহিত রোগের প্রদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
সোমবার সকালে চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার উপর ও সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ১৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আর কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার মাত্র ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় ৮৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। তবে জেলায় ৮৭টি মেডিকেল টিম কাজ করছে জানিয়ে কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. আমিনুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়ায় ১৭ জন আক্রান্ত হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর