নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে হলের অতিথি কক্ষে এ কাণ্ড ঘটান হল শাখা ছাত্রলীগের পাঠাগার সম্পাদক আরিফুল ইসলাম। মারধরের শিকার ওই ছাত্রের নাম নাঈম ইসলাম। তিনি উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়া ওই গেস্টরুমে আরও তিন শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হল সূত্রে আরও জানা গেছে, বিকালে ছাত্রলীগের প্রোগাম না করায় গেস্টরুমের এক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তাদেরকে হল বের হয়ে যেতে বলা হয়।
নাঈম হলের এক সিনিয়র ভাইয়ের নাম বলতে না পাড়ায় হল ছাত্রলীগের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নাঈমকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এক পর্যায়ে আরিফুল তাকে মাথায় ঘুষি মারে। এতে তিনি মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পান। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মারধরের ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করে আরিফুল বলেন, আমি তাকে মারিনি। সে গেস্টরুমে দেরি করে এসেছিল। দেরি করার কারণ জানতে চাইলে সে অসুস্থতার কথা বলে। পরে তাকে রুমে যেতে বলা হয়।
ওই গেস্টরুমে আরও তিন শিক্ষার্থীকে বের করার দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। হল সূত্র আরও জানায়, বিকালে ছাত্রলীগের প্রোগাম না করায় তাদেরকে এই হুমকি দেওয়া হয়। তারা হলেন ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের দিপু ইসলাম, ফারসি বিভাগের দ্বীন ইসলাম ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মিলন। এরা সবাই দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাদেরকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান মিজান।
হল ছাত্রলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, এই রকম কোনো তথ্য আমি জানি না । কোনো ছেলেকে কোনো আঘাত করা হয়নি । যে ছেলের কথা বলা হচ্ছে সে এখন হলে আছে। ভাল আছে। তার সঙ্গে আমি কথা বলেছি।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ