স্পোর্টস ডেস্ক:
রাগ ভালো নয়। রাগের মাথায় কিছু করতে নেই। তামিম ইকবাল হয়তো এই কথাগুলো সহজে ভুলবেন না আর। চট্টগ্রামে রাগের প্রকাশ দেখাতে গিয়েই ড্রেসিং রুমের কাঁচের দরজায় ব্যাট দিয়ে মেরেছিলেন বাড়ি। তাতেই কাঁচ ভেঙে সেই কাঁচের ওপর প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন। ফলাফল, পেটে চারটি সেলাই নিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন জাতীয় দলের সেরা ব্যাটসম্যান। ভাগ্য ভালো তার। আরো বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন। তামিম নিজে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় আরো বাজেভাবে আহত হতে পারতেন। ঘটনাটা জানাজানি হলো একটু দেরিতে। বাংলাদেশ দলের ক্যাম্প এক সপ্তাহের জন্য ছিল তামিমেরই শহর চট্টগ্রামে। ওখানেই ঘটনাটা জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে। বৃহস্পতিবার সেদিন।
২৯ রান করে সকালে আউট হয়ে নিজের ওপর বেজায় ক্ষেপে ওঠেন তামিম। সেই রাগ আর ক্ষোভ ঝাড়েন ড্রেসিং রুমে ঢুকতে গিয়ে ওখানকার কাঁচের দরজার ওপর। ব্যাট দিয়ে দিলেন বাড়ি। তখন কাঁচ সামান্য ভেঙেছে এমন দেখায়। কিন্তু দরজাটা ধাক্কা দিতেই হুড়মুড়িয়ে কাঁচ ভেঙে পড়ে। তামিমও পড়েন। মাথায় হেলমেট আর পায়ে প্যাড থাকায় ওদিকটা বেঁচে গেছে। কিন্তু কাঁচ ঢুকে পড়ে পেটে। সেই আঘাতে বেশ রক্ত ঝরেছে পেটের ক্ষত থেকে। দ্রুত চারটি সেলাই দিতে হয়েছে ওখানে। তামিম জানিয়েছেন, প্যাড না থাকলে আরো ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারতো। কিন্তু এটাও তো কম ভয়ঙ্কর নয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অন্তত ৫ দিন কোনো কাজ নেই তামিমের। ওই দুর্ঘটনার পর দুদিন মাঠে যাননি তামিম। তবে মিরপুরে ১৬-১৭ তারিখে নিজেদের মধ্যে অনুষ্ঠেয় প্রস্তুতি ম্যাচে তামিমকে পাবেন বলে বিশ্বাস প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর, ‘ওর ইনজুরি খুব গুরুতর না। পেটে লেগেছে। হাতে তো লাগে নাই। ম্যাচ তো অবশ্যই খেলবে। কেন পারবে না? হাতে লাগলে একটা কথা ছিল। ও প্রস্তুতি ম্যাচে খেলবে।’
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ