নিজস্ব প্রতিবেদক:
এক কাপ চা সবাই মিলে খা, এক কাপ চা সবাই মিলে না খেলেও মিলে মিশে আড্ডা দিয়ে চা খাওয়ার মজাই আলাদা। ইংরেজরা যখন এই উপ-মহাদেশে এসে খুঁটি গারলো তখন নিজেদের জীবন যাত্রাকে ঠিক রাখতে সাথে করে নিয়ে এলো তাদের অত্যাবশ্যক সব জিনিসপত্রও। আর তাদের এই অত্যবশ্যাকীয় উপকরণগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপকরণ ছিল চা। ধীরে ধীরে চা ইংরেজদের কাছ থেকে চলে এলো উচ্চবিত্তদের নাস্তার টেবিলে। আর এখন এটি ফেরিওয়ালা থেকে মন্ত্রী সকলেরই পছন্দের পানীয়।
এক কাপ চা কি চমৎকারভাবেই না আমাদের মস্তিষ্কের ঝিমুনি দূর করে দেয়। সকালে এক কাপ চা ছাড়া যেনো দিনই শুরু হতে চায় না। এতদিন চায়ের মন ভোলানো স্বাদে যদি আপনি মাতোয়ারা হয়ে থাকেন এবার তাহলে তার গুণগুলোর সঙ্গেও পরিচিত হয়ে নিন। মাত্র ১ কাপ চা ম্যাজিকের মতো বহু গুণ কমিয়ে দেয় হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের সম্ভাবনা। শুধু তাই নয়, দাঁত ক্ষয় রোধ করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও চায়ের জুড়ি মেলা ভার।
লাল চায়ে আছে (দুধ, চিনি ছাড়া) প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে বার্ধক্য জনিত সমস্যা এবং দূষনের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
লাল চায়ে চিনি মিশালেও তার গুণাবলী মোটেও নষ্ট হয়ে যায় না। মাড়ি ও দাঁতের পক্ষে ক্ষতিকর দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে সেই চা।
দিন রাত মোটা হওয়ার আতঙ্ক যাদের, তাদের জন্যও সু-খবর। ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতেও এই গরম পানীয়ের জুরি মেলা ভার। চায়ের মধ্যে ফ্লাভনয়েড নামের যে উপাদান ফ্যাট বার্নিংয়ে সাহায্য করে। এমনকি কমিয়ে দেয় শরীরের ফ্যাট শোষণের ক্ষমতাও।
সম্প্রতি ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে বলা হয়েছে, লাল-চা পান করলে মানুষের রক্তনালি ও ধমনির কার্যক্রম তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পায়, কিন্তু চায়ে দুধ মেশালে এর সুফল অনেক কমে যায়। কারণ রক্ত পরিবহনতন্ত্রের জন্য চায়ের উপকারিতার বিপরীতে কাজ করে দুধ। অন্যদিকে দুধ-চায়ে দুধের প্রোটিন চায়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্টের সঙ্গে মিশে যায় বলে চায়ের বেশির ভাগ ওষুধিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
তথ্য ও ছবি : ইন্টারনেট
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ