২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১১:০৪

উত্তেজনা প্রশমনে উত্তর কোরিয়া যাবে :মুন জে ইন

আন্তর্জাতিক সংবাদ

শপথ নিয়েই কোরীয় উপত্যকার উত্তেজনা প্রশমনে উদ্যোগ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। প্রয়োজনে সমস্যা মেটাতে ‘পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে’ উত্তর কোরিয়া যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার শপথ নিয়েছেন উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত এই নেতা।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম ভাষণে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত সমস্যা অবিলম্বে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দক্ষিণের নতুন প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থাপিত যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট টানাপোড়েন নিরসনে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনা শুরু করারও আশ্বাস দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জে-ইন। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ায় থাড স্থাপনে সিউলের অন্যতম বাণিজ্য সহযোগী বেইজিং ক্ষুব্ধ হয়েছে। চীন এটিকে তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করছে।

৬৪ বছর বয়সী মানবাধিকার-বিষয়ক আইনজীবী ও উদারপন্থী রাজনীতিক মুন জে-ইন দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান নীতি থেকে সরে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা বাড়াতে চান। পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট মুন বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে আমি নিরাপত্তা সংকট সমাধানের চেষ্টা করব। যদি প্রয়োজন হয়, ওয়াশিংটন যাব। আমি বেইজিং ও টোকিও যাব। পরিস্থিতি অনুকূলে হলে পিয়ংইয়ংও যাব।’

গতকাল সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুন জে-ইনকে জয়ী ঘোষণা করে।

গতকাল প্রথম কর্মদিবসে প্রেসিডেন্ট সাবেক কারাবন্দী ইম জং-সিয়ককে তাঁর চিফ অব স্টাফ নিয়োগ দেন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থায় এটি প্রেসিডেন্টের পরেই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ। গণতন্ত্রপন্থী সাবেক আন্দোলনকর্মী ইম জং-সিয়ক সরকারের অনুমতি ছাড়া উত্তর কোরিয়া সফরের আয়োজনের দায়ে তিন বছর কারাভোগ করেছেন। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুসারে, দেশটির নাগরিকদের উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার জন্য সরকারের অনুমতি নিতে হয়।

প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন প্রধানমন্ত্রী ও গোয়েন্দাপ্রধানের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদেও গতকাল নিয়োগ দেন। প্রবীণ উদার রাজনীতিক লি নাক-ইয়োনকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ পেয়েছেন। পার্লামেন্ট অনুমোদন করলে এই নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। আর গোয়েন্দাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় দুই কোরিয়া সম্পর্কে অভিজ্ঞ গোয়েন্দা কর্মকর্তা সুহ হুনকে।

দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হে ক্ষমতা ছাড়ার পর গত মঙ্গলবার আগাম নির্বাচনে জয়ী হন মুন জে-ইন।

ধারণা করা হচ্ছে, নেতৃত্বের শূন্যস্থান পূরণে বাকি মন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট ভবনের কর্মীদের দ্রুত নিয়োগ দেবেন প্রেসিডেন্ট।

এদিকে গতকাল চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানান। সি চিন পিং বলেন, পারস্পরিক আস্থা ও সমঝোতার ভিত্তিতে ‘যথাযথভাবে’ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বিরোধ মোকাবিলা করতে রাজি আছে চীন। আর সিউলকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী’ আখ্যা দিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে তিনি মুনের সঙ্গে কাজ করতে প্রতীক্ষা করছেন।

এন/এইচ=দেশ জনতা

প্রকাশ :মে ১১, ২০১৭ ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ