নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর হাবাসপুরে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়িতে গতকাল বুধবার রাত থেকে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাত একটা থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন জঙ্গি এবং একজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য।
ঘটনাস্থল থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মো. একরামুল হক আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, অভিযানে জঙ্গিদের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আস্তানার ভেতরে একজন ‘সুইসাইড ভেস্ট’ পরে অবস্থান করছেন। অভিযানে পুলিশের দুই সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সকাল পৌনে ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য শফিউল আজম জানান, অভিযানে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্য আব্দুল মতিনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে সকাল সোয়া আটটার দিকে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিবজুর আলম মুন্সি সাংবাদিকদের বলেন, জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়িটি ঘিরে ফেলার সময় ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে জঙ্গিরা ‘আত্মঘাতী বিস্ফোরণ’ ঘটান। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, পুলিশ সদরদপ্তরের এলআইসি শাখা ও স্থানীয় পুলিশ মিলে এই অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ত্রিমোহনী শিবনগর গ্রামের একটি জঙ্গি আস্তানা ২৬ এপ্রিল থেকে দুই দিন ঘিরে রেখে অভিযান শেষে চারজন নিহত হওয়ার কথা জানায় পুলিশ। পুলিশ বলে, আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ওই চারজন নিহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের একজন ছিলেন আবু কালাম ওরফে আবু (৩০)। তিনি নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।
গত কয়েক মাসে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, সিলেট, মৌলভীবাজার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ঝিনাইদহে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশ অভিযান চালায়। এসব অভিযানে নারী ও শিশুসহ নিহত হয় ২৫ জন। এর মধ্যে সিলেটে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চলাকালে নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যেই জঙ্গিদের ফেলে রাখা বোমার বিস্ফোরণে নিহত হন র্যাবের গোয়েন্দাপ্রধান আবুল কালাম আজাদ, পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ সাতজন।
M/H