২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৫:২৪

কোকেন চোরাচালান মামলার পুনঃতদন্ত চায় রাষ্ট্রপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রাম বন্দরে সুর্ষমূখী তেলের সাথে আসা কোকেন আটকের ঘটনায় দায়ের হওয়া চোরাচালান মামলার ফের তদন্তের আবেদন জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহ নূরের আদালতে এই আবেদন জানানো হয়।  ২০১৫ সালের ৬ জুন বন্দরে কোকেন থাকার সন্দেহে বলিভিয়া থেকে আসা ১০৭ ড্রাম সূর্যমূখী তেল জব্দ করা হয়। পরে চার ধরনের পরীক্ষায় দুটি ড্রামে কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান আইনে দুটি মামলা করা হয়। মাদকদ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুর আহমদের নাম আসামির তালিকায় থাকলেও চোরাচালান আইনের মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। মূলত: এই কারণে চোরাচালান মামলার ফের তদন্ত চাওয়া হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী চট্টগ্রাম মহানগর পিপি এডভোকেট ফখরুদ্দিন।

তিনি জানান, চোরাচালান মামলার তদন্ত সঠিক হয়নি। সেই বিষয়টি আদালতে জানিয়ে ফের তদন্ত চাওয়া হয়েছে। আদালত আগামী ২৩ আগষ্ট এই বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। ফখরুদ্দিন আরো বলেন, চোরাচালান মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করে মনে হয়েছে প্রকৃত অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যেতে পারে। সেজন্য আবারো তদন্ত চাওয়া হয়েছে। কোকেন জব্দের ঘটনায় দায়ের হওয়া চোরাচালান মামলার তদন্ত করে গোয়েন্দা পুলিশ গত ১৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

অভিযোগপত্রে সূর্যমূখী তেলের আমদানিকারক খাল জাহান আলী লিমিটেডের ব্যবস্থাপক নূর মোহাম্মদকে বাদ দেয়া হয়। অথচ একই ঘটনায় মাদকদ্রব্য আইনে দায়ের হওয়া মামলাটির তদন্ত করে র‍্যাব আদালতে যে অভিযোগপত্র দিয়েছে তাতে নুর মোহম্মদ ও তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

কোকেন আটকের ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় নুর মোহাম্মদ দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে গত ১১ জুলাই জামিনে বের হয়ে আসেন। এদিকে, জামিনে বের হওয়ার পর নুর মোহাম্মদ তার অজ্ঞাতে খান জাহান আলী লিমিটেডের নাম ব্যবহার করে সূর্যমূখী তেল আমাদানি করার অভিযোগে তিনজন ব্যক্তি ও সাতটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :আগস্ট ৯, ২০১৭ ৩:১৭ অপরাহ্ণ