নিজস্ব প্রতিবেদক:
টেকনাফে ৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ চকরিয়া থানার এক পুলিশ দম্পতিকে আটক করেছে বিজিবি। মো. এরশাদ আলম (৩০) নামের ওই পুলিশ সদস্য এরআগে টেকনাফ থানায় কর্মরত ছিলেন। গত ৩ দিন ধরে তিনি বিনা নোটিশে ডিউটিতে জাননি। সোমবার রাতে পুলিশ সদস্য আটক হলেও বিষয়টি গোপনের চেষ্টা করে বিজিবি ও পুলিশ। পরে মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হলে সন্ধ্যায় ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়।
সোমবার রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হোয়াইক্যং বিজিবি চেকপোস্টে এ দম্পতিকে আটক করা হয়। পরে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় এরশাদ ও তার স্ত্রী কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর তাদের পুলিশে সোর্পদ করে বিজিবি। এরশাদ কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার পীর যাত্রাপুর এলাকার মৃত আলী আজমের ছেলে এবং কামরুন নাহার কক্সবাজার পিএমখালী ছনখোলা এলাকার আব্দুল হামিদের মেয়ে। বিপুল ইয়াবাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আটকের ঘটনায় সর্বত্র তোলপাড় চলছে।
বিজিবি হোয়াইক্যং বিওপির হাবিলদার মো. হায়দর আলী শেখ জানান, রাতে কক্সবাজারগামী যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে এরশাদ ও কামরুন নাহার দম্পতির সঙ্গে থাকা একটি শপিংব্যাগ থেকে ৪০টি ছোট পলিব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় ৮ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। যার আনুমানিক মূল্য ২৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া তাদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আটক এরশাদ কোনো সরকারি বাহিনীর সদস্য কি না তা তিনি জানেন না বলে জানান।
টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক ওসি,(তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান এ বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জয়নাল জানান, মামলাটির যথাযত তদন্ত করা হবে।
এদিকে চকোরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, মো. এরশাদ আলম ৭/৮ মাস ধরে চকোরিয়া থানায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত রয়েছে। তবে গত ৩ দিন ধরে সে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। এব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন বলেও জানান।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ