আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চরম শিক্ষা’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাই ইয়ং হো সোমবার এ হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র পেনসেলভিনিয়া অঞ্চলে পরমাণু যুদ্ধের পায়তারা করছে। দেশটি যদি পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারের চেষ্টা চালায়, তবে তাদের চরম শিক্ষা দেওয়া হবে।’ গত মাসে উত্তর কোরিয়া আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। এরপর দেশটির নেতা কিম জং উন ঘোষণা করেন, এই পরীক্ষার পর গোটা যুক্তরাষ্ট্র তাদের পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের আওতায় চলে এসেছে। নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর গত শনিবার জাতিসংঘ দেশটির ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপ করে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে নতুন যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তার জবাবেই উত্তর কোরিয়া হুঁশিয়ারি দিল। খবর সিএনএন’র। উত্তর কোরিয়া যাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে অর্থ আয় করতে না পারে সেজন্য বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া দেশটির রপ্তানির ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দেশটি মূলত কয়লা, লোহা ও সামুদ্রিক খাবার রপ্তানি করতো। কিন্তু এখন এগুলো নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ছে। এছাড়া বিভিন্ন বিদেশি ব্যাংক ও কোম্পানির সঙ্গে যেসব যৌথ কারবার চলছিল, সেগুলোকেও টার্গেটে নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের এ রকম পদক্ষেপের জবাবে কঠিন প্রতিক্রিয়া পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। নতুন সেসব নিষেধাজ্ঞার কড়া সমালোচনা করে বলা হয়, এটা তাদের সার্বভৌমত্বের ওপর হামলার সমান। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাই ইয়ং হো আসিয়ানের আঞ্চলিক ফোরামে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের চলমান হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে আত্মরক্ষার স্বার্থে পারমাণবিক অস্ত্রে সক্ষমতা অর্জন উত্তর কোরিয়ার বৈধ অধিকার। উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ করবে না সেদিকে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অবস্থাতেই পারমাণবিক অস্ত্র ও দূরপাল্লার রকেট নিয়ে কোনো আলোচনার টেবিলে বসছি না। যুক্তরাষ্ট্রকে কঠিন শিক্ষা দেওয়া হবে, যদি তারা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারের চেষ্টা চালায়।’
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ