নিজস্ব প্রতিবেদক:
ধর্ষণের পর ন্যাড়া করার ঘটনায় ১১ দিন চিকিৎসা শেষে সোমবার আদালতে হাজির করা হবে নির্যাতিত সেই কিশোরীকে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, ওই কিশোরী এখন সুস্থ। আজ তাকে ছাড়পত্র দেয়া হবে।
গত ২৮ জুলাই পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার আগে মেয়েটির মা থানায় মামলা করেন, যাতে জাতীয় শ্রমিক লীগ বগুড়া শহর শাখার আহ্বায়ক তুফান সরকারসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, এবার এসএসসি পাস করা মেয়েটিকে ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে গত ১৭ জুলাই ও পরে কয়েকবার ধর্ষণ করেন তুফান সরকার। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার কয়েকজন সহযোগী। ঘটনা জানাজানির পর তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বোন কাউন্সিলর রুমকিসহ ‘একদল সন্ত্রাসী’ মা-মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারধরের পর নাপিত দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। মামলার পর ঘটনাটি গণমাধ্যমে এলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়; এরপর তুফানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে জাতীয় শ্রমিক লীগ।
তুফানসহ মামলার এজাহারভুক্ত ১০ আসামির মধ্যে নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে তুফানের সহযোগী আতিক (২৩) ও মুন্না এবং নরসুন্দর জীবন রবিদাস আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ গত ৪ আগস্ট মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, সেখানে ধর্ষণের আলামত মেলার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, আজ ওই কিশোরীকে তারা আদালতে হাজির করবেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তার থাকা ও নিরাপত্তার ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাকে বগুড়ায় রাখা হলে পুলিশ নিরাপত্তা দেবে। পুলিশ তার মা-সহ সবার নিরাপত্তা দেবে। তবে ওই কিশোরী বগুড়ায় থাকতে চান না। তিনি বলেন, আমি রাজশাহীতে ভর্তি হতে চাই। পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান স্যার বলেছেন, আমাকে ভালো কলেজে ভর্তি হতে সহযোগিতা করবেন। আমি পড়ালেখা করতে চাই। বাংলাদেশের সর্ব্বোচ্চ ডিগ্রি নিতে চাই।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ