নিজস্ব প্রতিবেদক:
বগুড়ার বহুল আলোচিত কিশোরী ধর্ষণ ও মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করার ঘটনার মূলহোতা শ্রমিকলীগ নেতা তুফান সরকার ও নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিতে রাজি হননি। তুফানের তৃতীয় দফা এবং রুমকির দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে আদালত দু’জনকেই জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম আদালত চত্বরে মানবন্ধন করেছে।
পুলিশ জানায়, শ্রমিকলীগ নেতা তুফান সরকারের তিন দফায় সাত দিন এবং কাউন্সিলর রুমিকর দুই দফায় ছয় দিনের রিমান্ড শেষে রোববার দুপুরে তাদেরকে আবারও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে আরো পাঁচ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় শুনানি শেষে উভয়ের রিমান্ড নামঞ্জুর করে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাদের আদেশ দিয়েছেন। একই সাথে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালতে হাজির করার সময় তুফান সরকারকে বেশ অসুস্থ মনে হচ্ছিল। অন্যের সহযোগিতা ছাড়া তুফান সরকার আদালতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না। অনেকেই ভাবছিলেন রিমান্ডে তার ওপর নির্যাতনের কারণেই এমন হতে পারে। কিন্তু আদালতে রিমান্ড না মঞ্জুর হওয়ার খবর শোনার সাথে সাথেই তার চেহারা পাল্টে যায়। তিনি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে যান। প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় তুফান তার সহযোগিদের উদ্দেশে হাত নেড়ে বলে, ‘মামারা কেউ চিন্তা করিস না আবার দেখা হবে।’
এদিকে, তুফান সরকার ও তার সহযোগিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে আদালতের সামনে আজ রোববার দুপুরে মানববন্ধন করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম।
সংগঠনের সভাপতি মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসুচিতে বক্তব্য রাখেন বগুড়া বারের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছেদ, সহসভাপতি আতাউর রহমান, নাজমুল হুদা পপন প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর