নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর বাজারে অব্যাহত দাম বাড়ায ক্রমেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাহরে চলে যাচ্ছে অধিকাংশ সবজি। বৃষ্টির কারণে পর্যাপ্ত জোগান না থাকার অজুহাতে প্রতিদিনই কোনো না পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে বিক্রেতারা। তাই মধ্যম ও স্বল্প আয়ের মানুষরা পড়ছেন বিপাকে।
রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, টমাটো ও শসাসহ সব ধরনের সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এ ছাড়া আমদানি করা চাল বাজারে আসলেও দামের কোনো পরিবর্তন আসেনি। এখনো মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়। শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা ও হাতিরপুল বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকায়, আমদানি টমেটো ১৪০ টাকা, দেশি টমাটো ৮০ টাকা, কাকরোল ৪০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫ টাকা, পটল ৪০ টাকা, কচুর মুখী ৫০, দুন্দল ৪৫, ঝিঙ্গা ৪০, পেঁপে ৩০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, চিচিঙ্কা ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, কচু ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে সব প্রকার মশলার দাম রয়েছে ঊর্ধ্বমুখী। প্রতি কেজি জিরা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪০০ টাকায়। সাদা এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৫০০ টাকায়। রসুনের দাম ১৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন আদা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি শুকনা মরিচ (দেশি) ২২০, ভারতীয় ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পেঁয়াজ এখন ২৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে কেজিতে ৬ থেকে ৮ টাকা।
সবজির দর চড়া হলেও মাংসের বাজারে তেমন পরিবর্তন আসেনি। গরুর মাংস ৫০০ টাকা, খাসি ৭২৫ থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার সাদা মোরগ প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, লাল ১৮০ টাকা, কক হালি ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা এবং দেশিয় জাতের মোরগ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায়।
এক ক্রেতা বলেন, ‘সাধারণত এ সময় বাজারে সবজি ও মাছের সরবরাহ বেশি থাকে। তাই দামও নাগালের মধ্যে থাকে। কিন্তু এবার বাজারে সবজি ও মাছ পর্যাপ্ত থাকলেও ক্রেতারা অতিরিক্ত দাম হাকাচ্ছেন। তার ওপর গতকালের বৃষ্টির অজুহাতে সবজির বাজারে আগুন লেগে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে পাইকারি বাজারের পণ্য খুচরা বাজারে আসলে দাম দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে আরো নজরদারি বাড়ানো উচিত।’
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ