বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক:
সাইক্লোন, হারিকেন, টাইফুন- শুনতে তিনটি পৃথক ঝড়ের নাম মনে হলেও আসলে এগুলো অঞ্চলভেদে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়েরই ভিন্ন ভিন্ন নাম। প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ই ‘টাইফুন’ নামে পরিচিত।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন এ বছরের প্রথম টাইফুন ‘নোরু’ প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে। এটি জাপান ছাড়াও সম্ভবত এ সপ্তাহে কোরিয়া বা চীনেও বিরুপ প্রভাব ফেলবে। আবহাওয়াবিদরা ঝড়টির ওপর নজরদারি করছেন। ওয়েদার ডটকমের তথ্যানুযায়ী, গত বুধবার ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে এটি ছিল সুপার টাইফুন, যা ক্যাটাগরি-৩ হারিকেন ঝড়ের সমতুল্য। একে বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে।
টাইফুন ‘নোরু’ বর্তমানে প্রশান্ত মহাসাগরে উত্তর-পশ্চিমে ভ্রমণ করছে এবং এটি দক্ষিণ জাপানের অধিবাসীদের জন্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। যাই হোক, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে মহাকাশচারীরাও নোরুর ওপর নজর রাখছেন এবং সেখানে থেকে পৃথিবীতে ঘূর্ণিঝড়ের যে ছবি পাঠিয়েছেন তা চমকপ্রদ।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে রাশিয়ান মহাকাশচারী সার্জি ইয়াজানেস্কি তার টুইটার অ্যাকাউন্টে নোরুর ছবি গত মঙ্গলবার প্রথম পোস্ট করেন। এরপর মার্কিন মহাকাশচারী জ্যাক ফিসার তার টুইটে প্রশান্ত মহাসাগরে বিদ্যমান শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টির আরো কিছু ছবি পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি বলেন, ‘প্রকৃতি মা যখন ঝড় তোলে তখন ছবিতে তা দেখতে সুন্দর এবং ভয়ংকর দুটোই লাগে।’
আরেক মার্কিন মহাকাশচারী র্যান্ডি ব্রাসনিকও তার ক্যামেরায় তোলা নোরুর ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আবহাওয়ার এই ঘটনাটি আশ্চর্যজনক, আপনি প্রায় ২৫০ মাইল ওপরে এর শক্তি বোধ করতে পারবেন।’
ব্রাসনিক আরো একটি দৃষ্টিকোণ থেকে ছবি তুলেছেন, যেটি রাশিয়ান সোয়াজ মহাকাশযানের একটি অংশ, যা বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে পৃথিবীতে যাওয়া বা আসার একমাত্র (এবং খুবই ব্যয়বহুল) পথ, এটি কক্ষপথের ল্যাবরেটরির সঙ্গে সংযুক্ত। আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাংগেলের ছবির শটটি পৃথিবীজুড়ে যেন ঝড়টির প্রভাব দেখায় এবং আমাদের অনুভব করায় যে, আমরা এর কাছে খুব ক্ষুদ্র ও অসহায়।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ