২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১০:৪৯

লোডশেডিংয়ের কবলে দক্ষিণাঞ্চল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বরিশাল-মাদারীপুর জাতীয় গ্রীড লাইন ফেল করায় দুঃসহ লোডশেডিংয়ের কবলে বরিশাল সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিট থেকে ৩টা ৪৮ পর্যন্ত ১০ মিনিট জাতীয় গ্রীড লাইন বিচ্ছিন্ন থাকায় সরবরাহ ও সঞ্চালনে প্রভাব পড়ে।

গৌরনদীতে ফ্লাশ ওভার হয়ে সিস্টেম জেনারেশন আউট হওয়ায় ভোলার দুটি এবং বরিশালের সামিট পাওয়ার প্লান্ট থেকে মোট ৩৬৯.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ বন্ধ থাকায় অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।

পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) বরিশাল গ্রীড সংরক্ষন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আকতারুজ্জামান পলাশ বলেন, বরিশাল-ভোলা জাতীয় গ্রীডের গৌরনদীতে একতলা একটি ভবনের ছাদের উপরে দাড় করে রাখা রডের কারনে ফ্লাশ ওভার হয়। এতে সার্কিট-২ ট্রিপ করে। এরপর ওভারলোডের কারনে সার্কিট-১-ও ট্রিপ করে করে।

তিনি আরও বলেন, এ কারনে সিস্টেম জেনারেশন আউট হয়ে যায়। কিছু সময় পরে সিস্টেম জেনারেশন লোড হওয়া শুরু করে। কিন্তু ভোলার দুটি এবং বরিশালের সামিট পাওয়ার প্লান্টের সিস্টেম জেনারেশন জাতীয় গ্রীডে স্বাভাবিকভাবে সরবরাহ হতে সময় লাগে। এ কারনে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুত ঘাটতি দেখা যায়। যার প্রভাবে বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে লোডশেডিং হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

পিজিসিবি বরিশাল কার্যালয় সূত্র জানায়, শুস্ক মৌসুমে বরিশালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ১১৪ মেগাওয়াট, চলতি বর্ষা মৌসুমে চাহিদা ৯০ মেগাওয়াট এবং শীত মৌসুমে চাহিদা ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট

দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :আগস্ট ৪, ২০১৭ ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ