২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১১:৪২

ত্রাণ সচিবসহ ১৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জেলা আইনজীবী সমিতি হাওররক্ষা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির ঘটনায় সুনামগঞ্জ স্পেশাল জজ আদালতে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিবসহ ১৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে । এর আগে এ ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরখাস্তকৃত ৩ প্রকৌশলীসহ ১৪ জন কর্মকর্তা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতিসহ ৭৮ জন, ৪৬ জন ঠিকাদারকেও আসামি করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হক বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় সুনামগঞ্জ স্পেশাল জজ আদালতে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন । আদালতের বিচারক সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. মুজিবুর রহমান সেটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদকে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। মামলায় সচিব ছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি ও সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। সচিবের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে দন্ড-বিধির ৫০৫ (এ) ধারার অভিযোগ। এই ধারায় উল্লেখ আছে, ‘কথা ইত্যাদি কর্তৃক অনিষ্টকর কার্য।’

মামলার বাদী মো. আবদুল হক বলেন, আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

এ মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে সুনামগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম ও বর্তমান জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট  বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শায়েখ আহমদ ও ১২ জন স্থানীয় সাংবাদিকসহ ২৯ জনকে।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, সময়মতো হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ না করে দুর্নীতি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, প্রজেক্ট ইপ্লিমেন্টেশন কমিটি (পিআইসি) ও ঠিকাদাররা।  ফলে অসময়ে হাওরের ফসলরক্ষ বাঁধ ভেঙে গিয়ে সুনামগঞ্জের সব কটি হাওরের কাঁচা ধান তলিয়ে গিয়ে এ জেলার মানুষ সারা বছরের খোরাকি হারিয়েছেন। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থা সচিব মো. শাহ কামাল গত ১৯ এপ্রিল  সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের সমাবেশে  বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নামে একা আইন আছে এই আইনের ২২ ধারায় বলা হয়েছে কোন এলাকার অর্ধেকের উপরে জনসংখ্যা মরে যাবার পর ওই এলাকাকে দুর্গত ঘোষণা করতে হয়। না জেনে যারা এমন সস্তা দাবি জানায় তাদের কোন জ্ঞানই নেই।  অবজ্ঞার সুরে সচিব আরো বলেন,  কিসের দুর্গত এলাকা একটি ছাগলও তো মারা যায়নি। এমন উদ্ধত্য ও অপমানজনক কথায় আহত হয়ে সাথে সাথে অনেকে সভাস্থল ত্যাগ করেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ এর ২২ ধারা, ৪টি উপধারার কোথায়ও এমন উদ্ধৃতি নেই। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব মো. শাহ কামাল অপমানজনক কথায় ও আস্ফালনে জনশৃঙ্খলা বিনষ্ট হাওয়ায় ত্রাণ বিষয়ে আস্থাহীনতা সৃষ্টি হওয়ায় দণ্ডবিধি ৫০৫(এ) ধারা অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :আগস্ট ৩, ২০১৭ ৬:১৭ অপরাহ্ণ