নিজস্ব প্রতিবেদক:
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে শুরু হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ভর্তি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ১৫ হাজার আবেদন পড়েছে। এরমধ্যে অনলাইনে পড়েছে ৮ হাজার ৬০০ আবেদন, এসএমএসে পড়েছে সাড়ে ৬ হাজার আবেদন।
শিক্ষাসচিব বলেন, আগামী প্রজন্মকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। শিক্ষার গুণগত মান যাতে বৃদ্ধি পায় সে বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা চাই আগামী প্রজন্ম ভালোভাবে গড়ে উঠুক। শিক্ষার্থীরা প্রকৃতই জ্ঞান অর্জন করে ভালো গ্রেড লাভ করুক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন, আন্ত:শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা এর চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মাহাবুবুর রহমান এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. কায়কোবাদ বক্তৃতা করেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, ভর্তিচ্ছুরা অনলাইনে (www.xiclassadmission.gov.bd) এই ওয়েবসাইট ও টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আগামী ২৬ মে পর্যন্ত এই আবেদন করা যাবে। শিক্ষার্থীদের মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজ নির্বাচন করে দিবে শিক্ষা বোর্ড।
২৭-২৯ মে আবেদন যাচাই-বাছাই। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ ৫ জুন। ২য় পর্যায়ের ফল প্রকাশ ১৩ জুন। ৩য় পর্যায়ের ফল প্রকাশ ১৮ জুন। ভর্তি ২০ জুন থেকে ২২ জুন এবং ২৮ ও ২৯ জুন।
এদিকে এবার নামি-দামি কলেজেও আসন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল ভর্তি আবেদনের প্রথম দিনে অনেক কলেজ কর্তৃপক্ষ দেখতে পান গত বছর তাদের যে আসন ছিল সেখান থেকে অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। হঠাত্ করেই আসন কমিয়ে দেওয়ায় বিপদে পড়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তারা।
আসন কমিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন কলেজের প্রায় ৫০ হাজার আসন কমানো হয়েছে। যেসব কলেজে গত বছর খুব একটা শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি অথচ আসন বেশি রয়েছে সেগুলোই কমানো হয়েছে।
এন/এইচ =দেশ জনতা