নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে নাগরিক সমাজের বেশিরভাগ সদস্যের সেনা মোতায়েনের দাবির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি মনে করেন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি অযৌক্তিক। ওবায়দুল কাদের বুধবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে মেট্রোরেলের ট্র্যাক ও এলিভেটেড স্টেশন নির্মাণের কাজের উদ্বোধনের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত সোমবার নির্বাচন কমিশন সংলাপে বসে নাগরিক সমাজের সঙ্গে। সংলাপ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা জানান, সংলাপে অংশ নেয়া বেশিরভাগ আলোচকই নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েনের পক্ষে ছিলেন। তবে এর বিরোধিতাও করেছেন কেউ কেউ ।
নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনের ঘোষিত পথ নকশা অনুযায়ী নাগরিক সমাজের সঙ্গে সংলাপ ছাড়াও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও বসবে। নির্বাচন কমিশন এই সংলাপে বিএনপিও অংশ নেবে বলে আশা করছে । এই সংলাপেও উঠে আসতে পারে নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি।
বিএনপি বরাবার ভোটের সময় সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে থাকে। নেতারা আগামী সংসদ নির্বাচনেও সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নিয়োগ দিতে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বলে আসছেন। তাদের দাবি, এই ব্যবস্থা নেয়া জরুরি সুষ্ঠু ভোটের জন্য। কিন্তু আওয়ামী লীগ বরাবর চায় সেনাবাহিনীকে ভোট থেকে দূরে রাখতে ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে কোথায় ব্যবহার করা হবে তা সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টির কোনো কারণ নেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি আগামী সংসদ নির্বাচন সেনা চাইলে সেটা নিয়ে মাঠে ময়দানে বক্তব্য না দিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে তারা যে দাবি করছে তা অবান্তর ও অযৌক্তিক।’
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি