নিজস্ব প্রতিবেদক:
তার দেশে এখন সফর করছে ভারত। প্রথম টেস্ট শেষ হলো। কিন্তু ওই টেস্ট দেখেন নি অর্জুনা রানাতুঙ্গা। তখন তার চোখ ছিল ওভালে চলমান ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের দিকে। গলের টেস্ট শুধু নয়, এখন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের কোনো খেলাই দেখেন না রানাতুঙ্গা। ১৯৯৬ বিশ্বকাপ দেশকে জেতানো অধিনায়ক দেশেরই খেলা দেখেন না! আবার নিজেই সেই কথা বলেন। কেন?
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটেরই অবশ্য এখন অন্ধকার যুগ। দেশের মাটিতে কদিন আগে জিম্বাবুয়ের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে। একমাত্র টেস্টে হারতে হারতে বেঁচেছে। নিয়মিত অধিনায়ক পদত্যাগ করেছেন। খেলোয়াড়দের নিয়ে বিতর্ক। নির্বাচক দল নিয়ে বিতর্ক। নানা কথা প্রশাসকদের নিয়ে। ক্রীড়া মন্ত্রীর সাথে লেগে যায় ক্রিকেটারের। ক্রিকেটার শাস্তি পান। মন্ত্রী আরো উঁচু গলায় ধুয়ে দেন ক্রিকেটারদের। দেন নানা হুমকি ধামকি। হচ্ছেটা কি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে!
এটাই প্রশ্ন কিংবদন্তি সাবেক অধিনায়ক রানাতুঙ্গার। অযোগ্য প্রশাসকদের হাতে পড়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের যা অবস্থা তা এখন কুৎসিত লাগে রানাতুঙ্গার কাছে। তার দেশের এক দৈনিককে তিনি জানিয়েছেন, ‘শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট এবং একে যেভাবে প্রশাসকরা চালান তা এতোটাই কুৎসিত যে আমি এখন আর আমাদের জাতীয় ক্রিকেট দেখি না।’ এই প্রসঙ্গেই রানাতুঙ্গা জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার প্রথম টেস্ট তো দেখেন নি, বাকি দুটিও দেখবেন না। ভারতের সাথে এরপর ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ও একটি টি-টুয়েন্টি খেলবে ভারত।
রানাতুঙ্গা নিজেই জানিয়েছেন, এই সময়ে তিনি ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় টেস্ট দেখেছেন। ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতে ২-১ এ এগিয়ে গেছে। আর গলে শ্রীলঙ্কা ৩০৪ রানে হেরে সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে পড়েছে। গত মাসে রানাতুঙ্গা একবার ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ এনেছিলেন। যে ফাইনালে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরে রানার্স আপ হয়েছিল লঙ্কানরা।
৫২ বছর বয়সী রানাতুঙ্গা ৯৩ টেস্টে ৫,১০৫ রান করেছিলেন। ২৬৯ ওয়ানডেতে ৭,৪৫৬ রান তার। তার দাবি, এখনকার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সংগঠকরা ক্রিকেটের চেয়ে টাকার পেছনে দৌড়াচ্ছেন বেশি। বিদেশ সফর এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা আদায় করে নেওয়ার দিকে আসল নজর তাদের। ক্রিকেটের জন্য কোনো ভালোবাসা কিংবা কমিটমেন্ট নেই। রানাতুঙ্গা অবশ্য এসব দেখে একেবারে বসে থাকবেন না। তিনি ঠিক করেছেন তার দেশের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগনামা পাঠাবেন। যাতে করে নতুন কোনো কমিটি করে লঙ্কান ক্রিকেটের স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ