নিজস্ব প্রতিবেদক:
উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিস আগ থেকেই ছিল। সাথে ছিল ব্যক্তিগত কারণে মানসিক চাপ। কক্সবাজারে খেলতে গিয়েছিলেন মাস্টার্স ক্রিকেট। খেলে ফিরেও ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যান বিসিবির পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন। অচেতন অবস্থাতেই তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর এক হাসপাতালে।
তবে সর্বশেষ খবর সুস্থ হয়ে উঠেছেন। লাইফ সাপোর্টও ছিল তার জন্য। সেটাও খুলে ফেলা হয়েছে। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল রাতেই এয়ার অ্যাম্বুলেসে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। বাংলাদেশ সময় রাত ১২.৫০ মিনিটে খালেদ মাহমুদকে বহন করা বিমানটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে। বিসিবি সভাপতি গতকাল জানিয়েছেন, ‘খুব জটিলতা নেই। শঙ্কা কেটে গেছে। দ্রুতই সেরে উঠবেন তিনি।’
জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক জাতীয় দলের সাথে যুক্ত বেশ কিছুদিন থেকেই। জাতীয় দলের অনেক সাফল্যর পেছনে তার রয়েছে নিরলস পরিশ্রম, উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা। ‘চাচা’ ক্রিকেটারদের পরিচিত এ মুখ সবার কাছে সমান গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। যখন যার যা প্রয়োজন, চাচা তার সমাধানে এগিয়ে আসেন। সেটা পারফরম্যান্সের ওঠানামা থেকে শুরু করে সব ধরনের। অনেক ক্রিকেটারের পরামর্শকও তিনি। তার পরামর্শ নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা। ফলে সদালপি ও সদা হাস্যোজ্জ্বল এ মুখে শঙ্কার কালো মেঘে সবাই মর্মাহত। ক্রিকেটাঙ্গনে এ সংগঠকের খোঁজখবর নিয়েছেন কম-বেশি সবাই।
গতকাল বিসিবি সভাপতি আরো জানিয়েছেন, বিদেশে উন্নত চিকিৎকার সব ব্যবস্থাই করা হয়েছে সুজনের। গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সুজন কোনো কথার জবাব দেয়ার জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু কথা বলার মতো অবস্থা তার ছিল না। ইশারায় কিছু বুঝানোরও চেষ্টা করেছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু সেটাও মাঝে মধ্যে। শঙ্কাটা কেটে গেছে এমনটা বলা হলেও একেবারে মুক্ত সেটাও বলা যাচ্ছে না। কারণ সেটার পেছনে তার উচ্চ রক্তচাপটাই বড় অন্তরায়।
গতকাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ইউনাইটেড হাসপাতালে পৌঁছে অসুস্থ বিসিবি পরিচালকের পাশে থাকেন কিছুক্ষণ। এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘ও অচেতন অবস্থায় এসেছিল। এখন কিছুটা রেসপন্স করছে। এটা উন্নতির লক্ষণ। পরশু রাতেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওকে বাইরে চিকিৎসা দেয়ার। এ ব্যাপারে সব ব্যবস্থা আমরা দ্রুত করে ফেলেছি।’
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ