নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী জাতীয় নির্বাচন টার্গেট করে নতুন প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। সারাদেশে দুই মাসব্যাপী এই কর্মসূচির প্রথম মাসেই ব্যাপক সাড়া মিলেছে। বিশেষ করে নারী ও তরুণেরা ব্যাপকহারে বিএনপির পতাকাতলে শামিল হচ্ছেন। ক্ষমতাসীন দল ও পুলিশ প্রশাসনের বাধা সত্ত্বেও প্রথম মাসেই ৩৬ লাখের বেশি সদস্য ফরম বিক্রি হয়েছে। বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন এলাকায় সরকারি নির্দেশে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি পণ্ড করে দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানীর ধানমণ্ডি থানা ছাড়াও ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, মাদারীপুরের শিবচর, নেত্রকোনা, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা করা হয়েছে। এসব না হলে আরও সাড়া পাওয়া যেতো। দল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার পর্যন্ত এক মাসে ৩৬ লাখের বেশি সদস্য ফরম বিক্রি হয়েছে, যা টার্গেটের ৩৫ ভাগ। এদের মধ্যে বেশিরভাগ নারী ও তরুণ ফরম কিনেছেন। এ বিষয়ে বিএনপির দফতরের দায়িত্বে থাকা দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ পরিবরর্তন ডটকমকে বলেন, ‘স্বেরাচারী সরকার আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। পুলিশ ও সরকারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।’ তিনি বলেন, ‘সকল বাধা উপেক্ষা করে জনগণ বিশেষ করে তরুণ, যুবক ও নারীরা বিএনপির পতাকাতলে শামিল হতে ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন।’ উল্লেখ্য, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ১ জুলাই রাতে গুলশানে নিজ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির টার্গেট এবার ১ কোটি নতুন সদস্য সংগ্রহ করা। টার্গেট পূরণে এবার ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিটি ওয়ার্ডে ২০০, পৌরসভার ওয়ার্ডে ৩০০ এবং সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ১ হাজার করে নতুন সদস্য সংগ্রহ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে বিএনপির নেতারা কাজ করছেন। এর আগে সর্বশেষ ২০০৯ সালে এই কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। ওই সময় বিএনপির সদস্য সংগ্রহের টার্গেট ছিল ৫০ লাখ।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ