নিজস্ব প্রতিবেদক:
কেরানীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও শিশু পরাগ অপহরণ মামলার প্রধান আসামি মোক্তার হোসেন ওরফে ল্যাংড়া আমির নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত ২টার দিকে মীরেরবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী আমির নিহত হয়েছেন। তার লাশ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যার পশ্চিমপাড়ায় বাসার গলির মুখ থেকে মা, বোন ও গাড়িচালককে গুলি করে শিশু পরাগ মণ্ডলকে অপহরণ করে আলোচনায় আসেন সন্ত্রাসী ল্যাংড়া আমির। এর আগেই অবশ্য তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ছিল। পরাগ অপহরণের ১৪ দিনের মাথায় ২৩ নভেম্বর অপহরণ মামলার প্রধান আসামি মোক্তার হোসেন ওরফে ল্যাংড়া আমির টঙ্গীতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাথায় গুলিবিদ্ধ হলেও বেঁচে আছেন আমির। সুস্থ হয়ে কারাগারে অবস্থানের একপর্যায়ে ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট ঢাকার আদালতের হাজতখানা থেকে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এরপর গত কয়েক মাসে তার রহস্যজনক গতিবিধি ও একাধিক ব্যবসায়ীর ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া ডজনখানেক ব্যবসায়ীর ঠিকানায় চিরকুট পাঠিয়ে বিভিন্ন অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। পুলিশকে মারারও হুমকি দেন তিনি। গত ২২ মার্চ চিকিৎসক দম্পতি আবু নোমান ও শাহানা নোমানের রিকশা থামিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে চিরকুট দেন ল্যাংড়া আমির। চিরকুট দেওয়ার সময় গুলি ছুড়ে আহত করেন তাদের বহনকারী রিকশাচালককে। চলে যাওয়ার সময় বলেন, ২০ লাখ টাকা না দিলে পরের গুলিটা তাদের বুকে করা হবে। এরপর আতঙ্কে কেরানীগঞ্জ ছাড়েন ওই দম্পতি। গত ২২ মে দিনদুপুরে জিয়ানগর এলাকায় ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামের রিকশা থামিয়ে একই কায়দায় তার পায়ে গুলি করেন আমির। সর্বশেষ গত মাসে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় ব্যবসায়ী শাহ আলমের বুকে গুলি চালান আমির।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ