নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভালো কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার কথা বলে তুলে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের পর মাসহ তাকে ন্যাড়া করে দেন বগুড়া শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার। এবার তার সঙ্গেই নির্যাতিতা কিশোরীর বিয়ের বিনিময়ে মীমাংসার প্রস্তাব করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তবে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তুফানসহ সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই কিশোরী ও তার পরিবার।
ইতোমধ্যে এ ঘটনায় দায়ের পৃথক মামলায় ‘ধর্ষক’ তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশাসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শ্রমিক লীগ থেকে তুফানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘মামলা প্রত্যাহার করে মীমাংসার নামে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে তুফানের পরিবার। সেই প্রস্তাব আমি সঙ্গে সঙ্গেই প্রত্যাখ্যান করেছি।’
তিনি বলেন, ‘তুফান সরকারসহ জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যাতে সারাদেশে কেউ কখনো এমন ধরনের অপরাধ করতে সাহস না পায়।’ এ ঘটনার পর আতঙ্কে রয়েছে নির্যাতিত পরিবারটি। কিশোরীর মা বলেন, ‘হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে গিয়ে নিরাপদে থাকতে পারব কি না তা বলা যাচ্ছে না। হাসপাতালে থাকতেও তুফান সরকারের লোকজন মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাব ফেরত দেওয়ায় তুফানরা আরো ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেছে।’
বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানান, বিয়ের প্রস্তাবের কথা আমরাও শুনেছি। তবে এখন আর সেটি সম্ভব নয়। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সেখানেই সমাধান হতে হবে। বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সনাতন চক্রবর্তী জানান, কোনো নাগরিক নিরপাত্তাহীনতায় ভুগলে এবং তা জানালে অবশ্যই প্রশাসনের প্রতিকার পাবেন।
তিনি বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণ ও মা-মেয়েকে নির্যাতনের পর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে একজন ছাড়া সব আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ নির্যাতিত পরিবারের নিরাপত্তা বিধান করবে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ