নিজস্ব প্রতিবেদক:
শতবছর পেরিয়ে ডিজিটাল যুগেও রৌমারী’র ভারতীয় সীমান্ত এলাকা জিনজিরাম নদীর উপর নির্মাণ হয়নি একটি ব্রীজ।এই অঞ্চলের খেওয়ারচর, আলগারচর, বাগানবাড়ি, বংশিরচর, বালিয়ামারী, লাঠিয়ালডাঙ্গা, চর লাঠিয়ালডাঙ্গাসহ ১০টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ শুকনা ও বর্ষা মৌসুমে সারা বছরই একমাত্র বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুল, কলেজের ছাত্র ছাত্রী, সরকারী বে-সরকারী চাকুরীজিবীসহ হাট-বাজারে চলাচল ও কৃষকরা অতিকষ্টে কৃষি পর্ন আনা নেওয়া করে থাকে।
লাঠিয়ালডাঙ্গা রৌমারী উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ পুর্বে অবস্থিত ভারতীয় সীমান্ত লগ্ন। জিনজিরাম নদীটি ভারত থেকে বয়ে আসা একটি শাখা নদী। কালের আবর্তে নদীটির ভয়াল রুপ ও ভাঙ্গনের তান্ডব থেমে গেলেও বন্ধ হয়নি স্রোতধারা। ১শ মিটার প্রস্তের নদীটির উপর একটি ব্রীজের দাবীতে ওই অঞ্চলের মানুষ বার-বার এমপি, চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক নেতাদের দরবারে ধরনা ধরেও তাদের দাবী পূরণ হয়নি। জিনজিরাম নদী দ্বাড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা ১০টি গ্রামের মানুষ সারাক্ষন আতংকে দিনাতিপাত করে থাকে। লাঠিয়ালডাঙ্গা গ্রামের , জমির উদ্দিন, বলেন, বাপ দাদার মুখে গল্প শুনেছি বংশানুক্রমে ৭ পুরুষেও এই নদীর উপর কোন ব্রীজ নির্মাণ হয়নি। যুগযুগ ধরে এ অঞ্চলের মানুষ বর্ষা মৌসুমে ডিঙ্গি নৌকা, কলাগাছের ভেলা ও নানা উপায়ে পারাপার হতো। শুকনো মৌসুমে প্রতি বছরই এলাকার সকলই মিলেমিশে চাদা দিয়ে বাঁশ কাঠ সংগ্রহ করে স্বেচ্ছা শ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে পারাপার হয়ে থাকে। তবে বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে পারাপরের সময় প্রতি বছরই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতরত শিশুদের হতাহতের ঘটনা ঘটে। এমতাবস্তায় অভিজ্ঞ মহল জানায়, উপজেলায় এমন বাঁশের সাঁকো অনেক আছে দেখার কেউ নাই। খাওয়ার লোকেরও অভাব নেই। প্রতি বছর সরকার টিআর, কাবিটা, কাবিখা, সহ বিভিন্ন প্রকল্প দিলেও কাজ না করে এমপি চেয়ারম্যান মেম্বার সরকার দলীয় নেতাদের পকেটস্ত হয়ে যায়। ফলে সকল এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী জিনজিরাম নদীর উপরসহ অন্যান্য এলাকার বাঁশের সাঁকোগুলি ভেঙ্গে দিয়ে ব্রীজ নির্মাণ করে স্কুল গামী কোমলমতি শিশুদের নিরাপদে স্কুলে যাতায়াতের নিশ্চয়তা প্রদানে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ