আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দীর্ঘ বিরতির পর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নিজের জীবনের বিব্রতকর বিষয়ে মুখ খুললেন সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা। এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন কীভাবে তার গায়ের রং নিয়ে বিভিন্ন জনের নানা কথা শুনতে হয়েছে। ওইমেনস ফাউন্ডেশন অব কলারাডোর ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে বুধবার উপস্থিত প্রায় আট হাজার মানুষের সামনে কথা বলেন বারাক ওবামা পত্নী।
মডারেটরের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অনেক তিক্ত জায়গায় আলো ফেলেন মিশেল ওবামা। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের। মিশেল ওবামা বলার চেষ্টা করেন কীভাবে তিনি একই ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছেন এবং বেশিরভাগ আক্রমণই তার শরীরে রং নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘এই দেশে আট বছর কাজ করে যাওয়া অনেক কঠিন ছিল। কারণ এখানে এমন লোক আছে যারা আমাকে দেখতে পছন্দ করেন না এবং সেটা আমার গায়ের রংয়ের কারণে।’ মিশেল ওবামা বলেন, ‘অনেক ছোট ছোট ক্ষত নিয়ে আমরা বাস করি এবং আমরা প্রতিদিন রক্তাক্ত হই। তারপরও আমরা উঠে দাঁড়াই।’
প্রায় এক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ এই ফার্স্ট লেডি তার গায়ের রংয়ের জন্য তেতো কথা শুনে আসছেন। তাকে খুব জঘন্য ফার্স্ট লেডি এবং সে আগের শ্বেতাঙ্গ ফার্স্ট লেডিদের মতো ‘ক্লাসি’ না বলেও কথা উঠছিল। ওয়াশিংটন স্টেটের এক মেয়র তো বলেই বসেছিলেন, মিশেলের মুখ গরিলার মতো। পুশ আপ করা বা শর্টস পড়ার জন্য সমালোচিও হয়েছেন তিনি।
হোয়াইট হাউস থেকে বের হওয়ার পরও মিশেলকে নিয়ে সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার এক এনজিও’র পরিচালক তো তাকে ‘হিল পরিহিত বান্দর’ বলে টুইট করেছিলেন। এ রকম তিক্ত বিষয় উঠে আসার পাশাপাশি বিভিন্ন নারী ও শিশুকে অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে মিশেল ওবামার প্রচেষ্টার প্রশংসা উঠে আসে ওই অনুষ্ঠানে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ