নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুষ্টিয়ায় পুলিশের সাথে পৃথক দু’টি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন পুলিশের ৭ সদস্য। পুলিশের দাবি নিহতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন-সোবহান আলী (৩৭) ও হাসানুজ্জামান লালন (৩৫)। আজ বুধবার ভোরে কুষ্টিয়া শহরতলী বাড়াদী ভাগার মোড় ঈদগাহ-গোরস্থান ও ভেড়ামারার দশমাইল নাম এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। হাসানুজ্জামান লালন গাংনীর মনোহরদিয়া গ্রামের আলীম উদ্দিনের ছেলে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নুল আবেদীন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে কুষ্টিয়া শহরতলী বাড়াদী ভাগারমোড় ঈদগাহ-গোরস্থান এলাকায় একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশ ও মডেল থানা পুলিশ বাড়াদীর ভাগার মোড়ের গোরস্থান সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য সোবাহান আলী নিহত হন। বন্দুক যুদ্ধ চলাকালে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ সময় পুলিশের গুলির কাছে ডাকাতদল টিকতে না পারলে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় তৈরি শার্টারগান, দুই রাউন্ড গুলি ও ১টি চাইনিচ কুড়াল ও ছোড়া উদ্ধার করে। তার বিরুদ্ধে কুমারখালী, রাজবাড়ী, ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়া মডেল থানায় ৮ টি মামলা রয়েছে।
অপরদিকে ভেড়ামারা থানার ওসি নুর হোসেন খন্দকার জানান, ভেড়ামারা থানা পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে হাসানুজ্জামান লালন (৩৭) নামের এক ডাকাত নিহত হয়। আজ বুধবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে ভেড়ারামার দশমাইল নামক স্থানে একদল ডাকাত ডাকাতী করছে। এ সময় ভেড়ামারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে সেখানে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে হাসানুজ্জামান লালন নামের এক ডাকাত নিহত হয়। পুলিশ জানায় সে গাংনীর মনোহরদিয়া গ্রামের আলীম উদ্দিনের ছেলে ডাকাত হাসানুজ্জামান লালন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি শর্টারগান, এক রাউন্ডগুলি ও করাত উদ্ধার করে। এ সময় ভেড়ামারা থানার ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পরে লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ