নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রাজধানীর মিরপুরে ও কুষ্টিয়া সদর ও ভেড়ামারায় চারজন নিহত হয়েছেন। ঢাকায় নিহত দুইজনকে ছিনতাইকারী ও কুষ্টিয়ার দুইজনকে ডাকাত দলের সদস্য বলে দাবি করছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ জুলাই) ভোরে মিরপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের পাশে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে সকাল ৭টার দিকে তাদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পুলিশের দাবি, নিহত দুই যুবক ছিনতাইকারী। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবির এক কর্মকর্তা জানান, এদের (নিহত) মধ্যে একজনের নাম ফারুক। নিহত দুইজন হাইওয়ে রেঞ্জের ডিআইজি এএসপি মিজান হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।
ডিবি পশ্চিম পল্লবীর জোনাল টিমের সিনিয়র (এসি) মো. শাহাদত হোসেন জানান, বেড়িবাঁধ এলাকায় ছিনতাইকারীদের একটি দল জড়ো হচ্ছে, এমন গোপন খবরে মহানগর ডিবি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চার ছিনতাইকারীরা গুলি ছুঁড়তে শুরু করলে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দুইপক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে দুই ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই দুইজনকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ছাড়া বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি প্রাইভেটকার, দুইটি পিস্তল ও একটি লোহার টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, কুষ্টিয়া সদর ও ভেড়ামারায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরও দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পুলিশের ৭ সদস্য। পুলিশের দাবি নিহতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নুল আবেদিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় তৈরি শার্টারগান, দুই রাউন্ড গুলি ও ১টি চাইনিচ কুড়াল ও ছোড়া উদ্ধার করে।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ