নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি প্যানেল মনোনয়নের জন্য ২৯ জুলাই ডাকা সিনেটের বিশেষ সভা (অধিবেশন) স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ঢাবির আদেশ ১৯৭৩ সালে ২০ (১) ধারা অনুযায়ী সিনেট গঠনে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
এছাড়া সিনেট অধিবেশন ডাকা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ ১৯৭৩ সালে ২০ (১) ধারা অনুযায়ী সিনেট গঠন না করে ২৯ জুলাই ডাকা সভা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না তাও জানতে চেয়েছেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ঢাবির পক্ষে ভিসি, প্রো-ভিসি (একাডেমিক), প্রো-ভিসি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন), রেজিস্ট্রার ও বাংলাদেশের পক্ষে শিক্ষা সচিবকে উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ১৫ জন রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েটদের করা এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক-উল-হাকিম ও বিচারপতি মো. ফারুকের (এম ফারুক) সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। ঢাবির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম। হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন বরিশালের আনোয়ার হোসেন, ঢাবির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ খান, অধ্যাপক ড. সিতেশ চন্দ্র বাচার, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রহিম, অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, অধ্যাপক ড. কেএম সাইফুল আলম খান, ঢাকার একেএম আতিকুর রহমান, ফরিদপুরের ড.আব্দুল জব্বার মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক মো. হুয়ায়ন কবির।
১৬ জুলাই ঢাবির রেজিস্ট্রার একটি চিঠি দেন সিনেট সভার জন্য। যাতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ আর ২১ (২) ধারার অর্পিত ক্ষমতাবলে উপাচার্য ২৯ জুলাই বিকেল ৪টায় সিনেটের বিশেষ সভা আহ্বান করেছেন। উক্ত বিশেষ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩, ১১(১) ধারা অনুযায়ী চ্যান্সেলর কর্তৃক ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য তিনজনের একটি প্যানেল মনোনয়ন করা হবে। ভাইস চ্যান্সেলরের প্যানেলে যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রস্তাব করা হবে, নাম প্রস্তাবকালে তাদের লিখিত সম্মতি সিনেট চেয়ারম্যানের কাছে পেশ করতে হবে। উক্ত সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করছি।
আমাতুল করিম জানান, আবেদনকারীদের দাবি রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটের অনেক প্রতিনিধির পদ খালি। তাই এ নির্বাচন না দিয়ে সিনেট সভা ডেকে ভিসি প্যানেল মনোনয়ন করা ঠিক নয়। এ কারণে ১৬ জুলাইয়ের এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৫ জন হাইকোর্ট রিট করেন।
প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেন। অর্থাৎ ২৯ জুলাইয়ের ডাকা সিনেট কমিটির বিশেষ সভা স্থগিত থাকবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর