নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুলিশ ভেরিফিকেশনে হজ গমনইচ্ছুক আখাউড়ার বাসিন্দা আজাদ হোসেন ভূঁইয়াকে মৃত দেখানোর পর তা সংশোধন করে তাকে হজে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ ঘটনায় আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেনকে সতর্ক করে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
এক আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতের ওসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহরিয়া কবির বিপ্লব। অন্যদিকে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মাদ খালেদ ও আইনজীবী মো. কায়সার জাহিদ।
এর আগে ১৭ জুলাই পুলিশ ভেরিফিকেশনে হজে গমনইচ্ছুক জীবিতকে মৃত দেখিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ায় তার ব্যাখ্যা দিতে আখাউড়া থানার ওসি মোশাররফ হোসেনকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পুলিশের ওই প্রতিবেদনকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।
আখাউড়ার বাসিন্দা মো. আজাদ হোসেন ভূঁইয়াকে মৃত দেখিয়ে ২০ জুন প্রতিবেদন দেয় আখাউড়ার থানা পুলিশ। পুলিশের এ প্রতিবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে ১২ জুলাই রিট দায়ের করেন জীবিত আজাদ হোসেন।
পরে আইনজীবী জাহিদ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, হজ গমনইচ্ছুক আখাউড়ার বাসিন্দা আজাদ হোসেন ভূঁইয়ার পুলিশ ভেরিফিকেশন করে প্রতিবেদন দাখিল করে। তাতে জীবিত আজাদ হোসেনকে মৃত দেখিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে ওই থানার তদন্তকারী আবুল কালাম। পরে ওই প্রতিবেদনের আলোকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে তাকে মৃত বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়।
আইনজীবী জাহিদ ভূঁইয়া আরো বলেন, ওই ঘটনার বিরুদ্ধে রিট আবেদন করা হলে আদালত থানার ওসিকে তলব করেন। রোববার ওসি হাইকোর্টে এসে এ বিষয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। তবে আদালত কোনো আদেশ না দিয়ে রিটকারী আজাদ হোসেনকে জীবিত দেখিয়ে প্রতিবেদন চেয়ে শুনানির জন্য পুনরায় সোমবার দিন ধার্য করেন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ