স্বাস্থ্য ডেস্ক:
দেশের চিকিৎসকরা রোগীর প্রেসক্রিপশনে (ব্যবস্থাপত্র) ফুড সাপ্লিমেন্ট জাতীয় কোনো আইটেম লিখতে পারবেন না। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জারিকৃত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। অধিদফরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, জারিকৃত এ নির্দেশনা অমান্য করে রোগীর ব্যবস্থাপনায় কোনো চিকিৎসক ফুড সাপ্লিমেন্ট লিখলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ও লাইন ডিরেক্টর (হসপিটাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট) এর স্বাক্ষরে বৃহস্পতিবার জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দশম জাতীয় সংসদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৬তম বৈঠকে ফুড সাপ্লিমেন্ট নামের আইটেম ডাক্তাররা যেন ব্যবস্থাপত্রে না লিখেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। সেই মোতাবেক দেশের সকল চিকিৎসকরা তাদের ব্যবস্থাপত্রে কোনো ধরনের ফুড সাপ্লিমেন্ট জাতীয় আইটেম না লিখেন, সে জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বর্তমানে রাজধানীসহ সারাদেশে এক শ্রেণির চিকিৎসক সুচিকিৎসার নামে উচ্চমূল্যে বিভিন্ন ফুড সাপ্লিমেন্ট পণ্য (স্টোরয়েড সমৃদ্ধ ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, মিনারেল ও জিংক) প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন। বিভিন্ন কোম্পানির এসব আইটেম ডাক্তাররা রোগীদের প্রেসক্রিপশনে লিখিয়ে দিচ্ছেন। অন্যদিকে রোগীরা সরল বিশ্বাসে প্রতারিত হচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, আমাদের দেশি যেখানে মানসম্পন্ন কোম্পানির প্রতি পিস ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ট্যাবলেট পাঁচ থেকে ছয় টাকা, সেখানে ওইসব ফুড সাপ্লিমেন্ট বিক্রি হয় ১৬ থেকে ৪০ টাকায়। এক শ্রেণির অর্থলোভী চিকিৎসকরা সব জেনেও নিশ্চুপ থাকছেন। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক সৈকত কুমার কর জাগো নিউজকে বলেন, ওষুধ ফার্মেসিগুলোতে ফুড সাপ্লিমেন্ট সামগ্রী বিক্রয়, প্রদর্শন ও মজুদ নিষিদ্ধ। কিন্তু অধিদফতরের পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন সময় ফুড সাপ্লিমেন্ট বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডাক্তাররা শুধু ওষুধ প্রেসক্রাইব করবেন। তাদের প্রেসক্রিপশনে ফুড সাপ্লিমেন্ট প্রেসক্রাইব করার নিয়ম নেই।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ