নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেরি করে ঘুমান বলে রাতের খাবারও দেরিতে খাচ্ছেন। কিন্তু এখানেই বড় ভুল করছেন। রাতে যত দেরি করে খাবেন, তত বিপদ। এতে বাড়বে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা। আক্রান্ত হতে পারেন স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগে। রাতের খাবারের আদর্শ সময় ১০টা। তাই রাতে ঘড়ির কাঁটা ১০টা ছোঁয়ার বেশি পরে খাবার খাচ্ছেন তো বিপদ ডেকে আনছেন।
রাত ১০টার পর খাবার খেলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ক্রনিক অম্বল, গ্যাসের সমস্যা ও রক্তচাপ বাড়বে। স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বাড়বে। ওজন বাড়ারও সম্ভাবনা থাকে। শরীর ঠিক রাখতে ঠিক সময়ে পরিমাণমতো খাওয়া আর রাতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
সাম্প্রতিক একটি মার্কিন গবেষণা বলছে, বেশি রাতে খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়লে খাবার হজম হয় না। ফলে অম্বল, বুক জ্বালা, অস্বস্তি দেখা দেয়। বদহজমে বারবার ঘুমও ভেঙে যেতে পারে। ধীরে ধীরে ইনসমনিয়ার মতো রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। বেশি রাতে খাওয়ার ফলে পরেরদিন সকালে খিদে পাবে না। ফলে ব্রেকফাস্ট বাদ। একে বলে মর্নিং অ্যানোরেক্সিয়া। কিন্তু সারাদিনের খাওয়ার মধ্যে ব্রেকফাস্টই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, বেশি রাতে খাবার খেলে স্মৃতিশক্তির ওপর প্রভাব পড়ে। ভবিষ্যতে অ্যালজেইমার্সের মতো রোগ হতে পারে।
গবেষকদের পরামর্শ, রাতে ভরপেট খাবার না খেয়ে একটু সালাদ, অল্প একটু গরম দুধ খাওয়া যেতে পারে। সহজপাচ্য শাক-সবজি খাওয়াই ভাল। রেড মিট, ভাজাভুজি, সোডা, ক্যান্ডি খাওয়া চলবে না।
রাতের খাবার আর ঘুমাতে যাওয়ার মধ্যে অন্তত দুই ঘণ্টার ব্যবধান রাখতে হবে। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনারের মধ্যে সঠিক ব্যালান্স করতে হবে। একেবারে অনেকটা না খেয়ে সারাদিনে অল্প অল্প পরিমাণে খেতে হবে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ